ABP Exclusive: Shubman Gill Has Saved His Father’s Mobile Number In A Special Way, Know In Details

সন্দীপ সরকার, কলকাতা: ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত ঘেঁষা গ্রাম ফাজিলকা। সেখানকার সম্ভ্রান্ত কৃষক পরিবার। গৃহকর্তা লখবিন্দর গিলের সারাদিন কেটে যায় চাষের কাজকর্মের তত্ত্বাবধানে। তবে একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখতেন তিনি। শুভমনের তখন আর কী-ই বা বয়স। পাঁচ বা ছয়। কিন্তু ছেলেকে ভবিষ্যতে কৃষিকাজে জড়াতে চাননি লখবিন্দর। চাষের মাঠেই পিচ বানিয়ে ছেলেকে ক্রিকেট খেলা শেখাতেন। মাঠের আল দিয়ে দৌড়তে দৌড়তে সেই ক্রিকেটের সঙ্গে পরিচয় খুদের।

সেদিনের সেই একরত্তি বুধবার হায়দরাবাদে ব্যাট হাতে আগুন জ্বাললেন। ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে (Ind vs NZ) তাঁর ১৪৯ বলে ২০৮ রানের ইনিংস নিয়ে ধন্য ধন্য চলছে। বলাবলি চলছে, ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ওপেনিং জুটি পেয়ে গেল ভারত। রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) ও সঙ্গে শুভমন গিল (Shubman Gill)।

গিল তাঁর সাফল্যের জন্য বরাবর কৃতিত্ব দেন বাবা লখবিন্দরকে। বাবাই তাঁর প্রথম কোচ। আর লখবিন্দরকে ঈশ্বরজ্ঞানে ভক্তি করেন শুভমন। অনেকেই জানেন না যে, শুভমনের মোবাইলে ‘গড’ নামে একটি নম্বর সেভ করা রয়েছে। যে গল্প নিজেই একবার শুনিয়েছিলেন পাঞ্জাবের ক্রিকেটার। জানতে চাওয়ায় বলেছিলেন, ‘ওটা আমার বাবার নম্বর। ক্রিকেট মাঠে আমি যা হতে পেরেছি, তা বাবার জন্যই। বাবার কাছেই ক্রিকেটের প্রথম তালিম নিয়েছিলাম। আমার জন্য অনেক কিছু ত্যাগ করেছেন। গ্রাম ছেড়ে মোহালিতে পাকাপাকিভাবে চলে এসেছেন। তাই বাবাকে আমি গড বলেই ডাকি। ফোন নম্বরটাও গড নামে সেভ করেছি সেই জন্যই।’

ছেলের ডাবল সেঞ্চুরি হায়দরাবাদে মাঠে বসে দেখেছেন লখবিন্দর। ফোনে এবিপি লাইভকে বলছিলেন, ‘শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজের শেষ ম্যাচে, তিরুঅনন্তপুরমে সেঞ্চুরি করেছিল। কিন্তু সেদিন আরও বড় রান করতে চেয়েছিল। আউট হয়ে যাওয়ায় পারেনি। সেই ম্যাচের পরই আমাকে বলেছিল, আরও বড় ইনিংস খেলা উচিত ছিল। ওর অস্থিরতা দেখে আমি হরেসেছিলাম। জানতাম ওর খিদে আরও বেড়ে গেল।’

কিউয়ি বোলারদের বিরুদ্ধে যেরকম রণংদেহী মূর্তি ধরেছিলেন শুভমন, তা দেখে খুশি লখবিন্দর। তবে আত্মতুষ্ট হতে নারাজ। বাবা নয়, এবার যেন তিনি সতর্ক কোচ। যিনি চান, তরুণ তুর্কির পা যেন বাস্তবের মাটি থেকে না উঠে যায়। লখবিন্দর বলছেন, ‘একটা ম্যাচে বড় রান করা আমাদের লক্ষ্য নয়। ধারাবাহিকভাবে খেলতে হবে। সবরকম পরিস্থিতিতে রান করতে হবে। আমি ওকে বলে দিয়েছি, ডাবল সেঞ্চুরির জন্য আনন্দ করছো, করে নাও। এই মুহূর্তটা তোমার। কিন্তু পরের ম্যাচে ফের শূন্য থেকে শুরু করতে হবে। সেভাবেই মানসিকভাবে প্রস্তুতি নাও।’

আরও পড়ুন: দাবায় তুলকালাম! অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিব্যেন্দুর