Baby food Crisis: বিশেষ বেবিফুডের আচমকা সংকট, মহা উদ্বেগে অভিভাবকরা

মারাত্মক সমস্যায় পড়েছেন অভিভাবকরা। দুধের বিকল্প হিসাবে কিছু শিশুকে বিশেষ ধরনের বেবি ফুড খাওয়ানো হয়। কিন্তু সেই বেবি ফুড মিলছে না কিছুতেই। বহু জায়গায় তাঁরা খোঁজাখুঁজি করছেন। কিন্তু সেই বিশেষ ধরনের বেবি ফুডের দেখা নেই। সূত্রের খবর, মূলত এই ধরনের বেবি ফুড বিদেশ থেকে আনতে হয়। কিন্তু বিদেশ থেকে সেই বেবি ফুডের আমদানি হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তার জেরেই সমস্যায় পড়েছেন অভিভাবকরা।

সূত্রের খবর কিছু সদ্যোজাতর কাছে মাতৃদুগ্ধ পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা থেকে যায়। তাদের জন্য বিকল্প বেবি ফুডের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সেই বেবি ফুডের ক্ষেত্রেই এবার বড় সংকট। এদিকে ভারতে এই ধরনের বেবি ফুড তৈরি হয় না। বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। খুচরো ও পাইকারি বাজার থেকে আচমকাই উধাও হয়ে গিয়েছে এই বিশেষ ধরনের বেবিফুড। তবে কিছু সদ্যোজাত এই বেবিফুডের উপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল। সমস্যায় পড়ে গিয়েছে তারা। এর সঙ্গেই চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন অভিভাবকরা। বাধ্য় হয়েই এবার সেই শিশুদের অভিভাববকরা কার্যত বাধ্য হয়েই তাদের নিয়ে নার্সিংহোমে, হাসপাতালে ছুটছেন। মূলত তাদের যাতে স্যালাইন দেওয়া যায় সেকারণেই তাদের নার্সিংহোমে, হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে।

সূত্রের খবর, আসলে এগুলি হল অ্যামাইনো অ্য়াসিডযুক্ত ইনফ্যান্ট পাউডার। সেটাই খাওয়ানো হয় কিছু শিশুকে। ৪-৫টি সংস্থার মাধ্যমে এই বেবিফুড আসে বিদেশ থেকে। মূলত ইংল্যান্ড ও সুইজারল্য়ান্ড থেকে আমদানি করা হয় এই বিশেষ ধরনের বেবিফুড। কিন্ত কিছুদিন হল সেই ধরনের বেবিফুড বিদেশ থেকে ভারতে আমদানি হচ্ছে না। এনিয়ে সংবাদ মাধ্যমে খবর পরিবেশিত হয়।

বহু বাবা মা এনিয়ে উদ্বেগের মধ্য়ে পড়ে গিয়েছেন। কীভাবে তাঁরা শিশুদের মুখে বেবিফুড তুলে দেবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না। গত ১০-১২ দিন ধরে এই সমস্যা চলছে বলে দাবি করা হচ্ছে। একটাই প্রশ্ন এই সমস্যা মিটবে কবে?

সূত্রের খবর, দ্রুত এই সমস্যা মেটানোর ব্যাপারে চেষ্টা করা হচ্ছে। আমদানি করার ক্ষেত্রে জট অনেকটাই কাটতে চলেছে। মনে করা হচ্ছে ফেব্রুয়ারির মধ্যে সমস্যা মিটবে। তবে এই প্রসঙ্গে অভিজ্ঞ মহলের মতে, সাধারণ বেবি ফুডের ক্ষেত্রে কোনও সঙ্কটজনিত সমস্যা নেই। কেবলমাত্র বিশেষ ধরনের বেবিফুডের ক্ষেত্রেই সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়া শিশুদের কাছে মাতৃদুগ্ধের প্রকৃত বিকল্প বাস্তবিকই হয় না।