আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক মাঝবয়সি ব্যক্তি। কথা বলতে বলতে হঠাৎই বন্ধ হয়ে আসছিল তাঁর চোখ। এরপরেই টাল না রাখতে পেরে ধপ করে বসে পড়েন চেয়ারে। তারপরেই কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন বা সিপিআরের মাধ্যমে তাঁর জীবন বাঁচালেন এক সরকারি আধিকারিক। এমন একটি ঘটনাটির ভিডিয়োই সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি চণ্ডীগড়ের। মঙ্গলবার চণ্ডীগড় হাউজিং বোর্ডের অফিসে হঠাৎ করেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন এক মাঝবয়সি ব্যক্তি। এরপর তিনি পড়েও যান। পড়ে গিয়েছেন শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন চণ্ডীগড়ের স্বাস্থ্য সচিব যশপাল গর্গ। রোগীকে সঙ্গে সঙ্গে তুলে চেয়ারে বসানো হয়। এরপর তাঁর বুকের বাঁ দিকে জোরে জোরে চাপ দিতে থাকেন তিনি। হৃৎপিণ্ড সচল করার জন্য সিপিআর পদ্ধতির আশ্রয় নেন যশপাল। কিছুক্ষণের চেষ্টায় প্রাণে বেঁচে যান রোগী।
ভিডিয়োটিতে দেখা যায়, চেয়ারে বসিয়ে রোগীর বুকে বেশ জোরে বার বার ধাক্কা মারছেন যশপাল। চোখ প্রায় উল্টে গিয়েছিল রোগীর। কথাও বলতে পারছিলেন না তিনি। পাশাপাশি সাময়িক ভাবে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন। কিছু ক্ষণ সিপিআরের পর দেখা যায়, রোগী ডান হাত নাড়ছেন। এরপরেই রোগী হাত তুলে থামতে ইঙ্গিত করেন। এরপর তাঁকে জল খেতে দেওয়া হয়।
পরে জানা যায়, রোগীর নাম জনক লাল। সিপিআর করার পর কিছুটা সুস্থ বোধ করলে তাঁকে দেরি না করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর ইলেকট্রোকার্ডিয়োগ্রাফি করানো হয়। আপাতত রোগীকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকেরা।
পরে যশপাল জানান, সিপিআর পদ্ধতি প্রয়োগ করার কোনও প্রশিক্ষণ তিনি নেননি কখনও। তবে নানা সময় টিভি ও মোবাইলে একাধিক ভিডিয়ো দেখে হৃৎপিণ্ড সচল রাখার তাৎক্ষনিক উপায়টি তিনি শিখেছিলেন। মঙ্গলবার সেই পদ্ধতিই কাজে লাগান তিনি। তাঁর এই উপস্থিত বুদ্ধিতে রোগীই সুস্থ বোধ করেন। নেটদুনিয়ায় ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই কমেন্টে তাঁর প্রশংসা করেন।
ডাঃ তারিক তাম্বুর টুইটার থেকে পোস্টটি শেয়ার করা হয়। মৃতপ্রায় একজনকে বাঁচিয়ে তোলার জন্য এক ব্যক্তি কমেন্ট লেখেন, উনি মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। ওনাকে আল্লাহ রক্ষা করুক।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup