Lancet Study on Coronavirus: শুধু টিকার থেকেও বেশি জরুরি, হাইব্রিড ইমিউনিটি! করোনা নিয়ে বলছে সমীক্ষা

করোনাভাইরাস সংক্রমণের দাপটের প্রায় ৩ বছর কেটে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত করোনা নিয়ে সব তথ্য জানতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। নিত্য নতুন গবেষণায় উঠে আসছে নানা তথ্য। হালে এমনই এক তথ্য দিল ল্যানসেট পত্রিকার সমীক্ষা। করোনাভাইরাস থেকে কারা সবচেয়ে বেশি নিরাপদ, তা নিয়ে তথ্য দেওয়া হল এই সমীক্ষার রিপোর্টে।

এখনও পর্যন্ত চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানীরা বলে আসছেন, করোনা থেকে বাঁচার জন্য টিকাই হল সেরা রাস্তা। কিন্তু ল্যানসেটের সমীক্ষা বলছে, তার চেয়েও ভালো দাওয়াই হল হাইব্রিড ইমিউনিটি। যাঁদের এই ধরনের রোগ প্রতিরোধ শক্তি রয়েছে, তাঁরা করোনা থেকে বাঁচতে পারেন অনেক সহজেই। তাঁদের মধ্যে ভবিষ্যতে সংক্রমণের আশঙ্কা কম। তার পাশাপাশি একবার সংক্রমিত হলেও বাড়াবাড়ির আশঙ্কাও কম থাকে। 

কী এই হাইব্রিড ইমিউনিটি?

ল্যানসেটের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, এই হাইব্রিড ইমিউনিটি হল একই সঙ্গে দু’টি ভাবে করোনা থেকে প্রতিরক্ষা পাওয়ার পদ্ধতি। দু’টির মধ্যে একটি হল টিকা। অন্যটি হল একবার সংক্রমণ থেকে তৈরি হওয়া রোগ প্রতিরোধ শক্তি।

অর্থাৎ যাঁরা একবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, এবং তা থেকে সুস্থ হয়েছেন, তাঁদের যদি টিকা নেওয়া থাকে, তাহলে শরীরে করোনার বিরুদ্ধে যে রোগ প্রতিরোধ ক্তি তৈরি হয়, সেটিই সবচেয়ে ভালো। আর এটিকেই হাইব্রিড ইমিউনিটি বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

দেখা গিয়েছে, যাঁদের একবার অন্তত করোনা সংক্রমণ হয়েছে, তাঁরা যদি টিকা নেন, অর্থাৎ হাইব্রিড ইমিউনিটি পান, তাহলে তাঁদের আবার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। আর কারও শরীরে যদি শুধুমাত্র টিকা থেকে পাওয়া রোগ প্রতিরোধ শক্তি থাকে, তাহলে সেই আশঙ্কা ৭৫ শতাংশ মতো কমে। আর সেই কারণেই হাইব্রিড ইমিউনিটিকে বেশি কার্যকর বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

অনেকেরই ধারণা, ভারতের বেশির ভাগ মানুষেরই একবার না একবার করোনা সংক্রমণ হয়ে গিয়েছে। আর এখনও পর্যন্ত ভারতে টিকাকরণের হারও ভালো। তাই ভারতের বেশির ভাগ মানুষের হাইব্রিড ইমিউনিটি আছে বলেও মনে করেন অনেকে। এই অবস্থায় আগামী দিনে ভারতে করোনা যে আর বাড়াবাড়ি অবস্থার সৃষ্টি করবে না, এমন আশাও রাখছেন অনেকেই। এবং তার পিছনে ভূমিকা রয়েছে এই হাইব্রিড ইমিউনিটিরই।

ল্যানসেটের সমীক্ষা আবারও তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। আগামী দিনে এই বিষয়ে আরও গবেষণা এবং সমীক্ষা হলে, ছবিটি পরিষ্কার হবে বলেও মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।