Orange bat in Bastar forest: কমলা রঙের বাদুড়! দেখলেই চমকে ওঠে পিলে, বস্তারের জঙ্গলে মিলল বিরল নিশাচরের খোঁজ

কাঙ্গের ঘাঁটি জাতীয় উদ্যানে এবার দেখা মিলল এক বিরল প্রজাতির বাদুড়ের। মূলত গায়ের রঙের জন্যই বিরল বলা হচ্ছে এটিকে। সাধারণত বাদুড়ের গায়ের রং ধূসর বা কালো রঙের হয়। তবে এদিন খোঁজ পাওয়া গিয়েছে কমলা রঙ্গের বাদুড়ের। এছাড়াও, একটি বিপন্ন প্রজাতির ভারতীয় নেকড়ের দেখা মিলেছে ছত্তিশগড়ের নকশাল অধ্যুষিত বস্তার জেলার বনাঞ্চলে। 

এক বনকর্তা সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমকে এমনটা জানিয়েছেন। বনদপ্তরের তথ্য অনুসারে, অত্যন্ত কম সংখ্যার কারণে ভারতীয় নেকড়েকে ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন (WPA)-এর তফসিল এক প্রজাতির প্রাণী হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। বস্তারের জঙ্গলে তাদের উপস্থিতি আনন্দের খবর হিসেবেই দেখছে বনদপ্তর।

কাঙ্গের ঘাটি ন্যাশনাল পার্কের ডিরেক্টর গনবীর ধর্মশীল এদিন সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেন, বস্তার জেলার নকশালপ্রবণ এলাকায় রয়েছে কাঙ্গের ঘাটি ন্যাশনাল পার্ক এবং ইন্দ্রাবতী টাইগার রিজার্ভ। 

এই দু়টি এলাকাতেই এখন বন বিভাগের প্রবেশাধিকার বেড়েছে। ফলে বনের ব্যবস্থাপনাও আরও উন্নত হয়েছে। ধর্মশীল জানান, নজরদারির জন্য বনের অভ্যন্তরীণ অঞ্চলেও ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এই ক্যামেরার সাহায্যে বন্যপ্রাণীর অনন্য সব প্রজাতির ভিডিয়ো রেকর্ডিং এবং ফটোগ্রাফ তোলা হচ্ছে। 

তাঁর কথায়, ‘এখানকার জঙ্গলে ভারতীয় নেকড়েদের খুঁজে পাওয়া রীতিমত আনন্দের খবর, তাদের সংরক্ষণ ও প্রচারের জন্য ইতিমধ্যেই একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। গ্রামবাসীদেরও সে কথা জানানো হচ্ছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে আমাদের সাহায্য করার জন্য আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। যদিও বনের একটি বড় এলাকা নকশাল প্রভাবিত। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিপদের আশঙ্কা থাকায় বন বিভাগের কর্মকর্তারা সেসব এলাকায় যান না। 

তবে বনদপ্তর বিভাগ এখনও বন্য প্রাণীদের বাঁচাতে যতরকমভাবে সম্ভব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে,’ তিনি আরও বলেন ‘এর আগে, অন্ধ মাছ, কমন হিল ময়না, কুমির, লম্বা গোঁফের গুহা ঝিঁ ঝিঁ পোকা, বিরল প্রজাতির ওটার(একধরনের জলজ প্রাণী)-ও কাঙ্গের ঘাঁটি জাতীয় উদ্যান থেকে পাওয়া গিয়েছিল।’ তেমনই এবারে আরও দুটি বিরল প্রজাতির প্রাণীর খোঁজ পাওয়াতে খুশির আমেজ বনদপ্তরে।

 

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup