আমাকে পঙ্গু বানিয়ে দেওয়া হয়েছে: তসলিমা নাসরিন | BD24Live.com

প্রকাশিত: ১২:১৯ অপরাহ্ণ, ২০ জানুয়ারি ২০২৩

নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন নিজের চিকিৎসা নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। গত কয়েকদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার হাসপাতালে বিছানার ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। এরপরই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তসলিমা জানিয়েছেন, কেনো তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে নিজের ফেসবুক ভেরিফাইড অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টের তিনি পঙ্গু হয়ে যাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তিনি এ বিষয়ে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন।

পোস্টে তিনি বলেন, ‘ধিক্কার দিচ্ছি নিজেকে। ধিক্কার দিচ্ছি, এতকালের আমার মেডিকেল জ্ঞানকে। আমাকে হাসপাতালে মিথ্যে কথা বলা হয়েছিল যে আমার হিপ বোন ভেঙেছে। আমার জীবনে কোনও জয়েন্ট পেইন ছিল না, জয়েন্ট ডিজিজ ছিল না। আমাকে মিথ্যে কথা বলে, ফিমার ফ্র্যাকচারের ট্রিটমেন্টের নামে আমার হিপ জয়েন্ট কেটে, ফিমার কেটে ফেলে দিয়ে আমাকে সারাজীবনের জন্য পঙ্গু বানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

পোস্টে তিনি আরও বলেন, ‘ধিক্কার দিচ্ছি আমি কেন ক্রিমিনাল টিমের ট্র্যাপে পড়লাম। আজ আমি এক্সরে রিপোর্ট দেখলাম আমার। আমার কোথাও কোনও ফ্র্যাকচার হয়নি সেদিন। ফ্র্যাকচার হয়নি বলে আমার হিপ জয়েন্টে কোনও ব্যথা ছিল না, কোনও সুয়েলিং ছিল না। আমাকে বাংলাদেশি মুসলিম রোগী হিসেবে দেখা হয়েছে। যার কাছ থেকে প্রচুর টাকা নিয়ে অপারেশান করা হবে। সেই নিরীহ রোগী দেশে ফিরে যাবে, এবং ভেবে সুখ পাবে যে তার ট্রিটমেন্ট হয়েছে।’

এর আগে রোববার (১৫ জানুয়ারি) ফেসবুকে তসলিমা নাসরিনের পোস্ট করা হাসপাতালের দুটি ছবি থেকে জানা যায় তিনি অসুস্থ কিন্তু ঠিক কোন রোগে আক্রান্ত সেটা স্পষ্ট করেননি তিনি।। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) ফেসবুকে আরেকটি পোস্টের মাধ্যমে অসুস্থতার বিষয়টি স্পষ্ট করেন তসলিমা নাসরিন। পোস্টে তিনি লিখেছেন, হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকার ছবি দেখে অনেকে ভেবেছে আমার বোধহয় হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হয়েছে। না, এসব কিছুই হয়নি।

পোস্টে তিনি আরও লেখেন, সেদিন ওভারসাইজ পাজামা পরে হাঁটছিলাম ঘরে, পাজামা চপ্পলে আটকে গিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ে গেলাম। অগত্যা যা করতে হয়, করেছি। হাঁটুতে ব্যথা হচ্ছিল, আইস্প্যাক দিয়েছি, ভলিনি স্প্রে করেছি। আমি ভেবেছিলাম, হাঁটুর লিগামেন্টে চোট লেগেছে। এক্সরে করার জন্য হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারি পায়ের ফিমায় চোট লেগেছে।

না.হাসান/সাএ