বগুড়ায় ১৫ কোটি টাকার ধান-চাল কালোবাজারি, মামলা | BD24Live.com

প্রকাশিত: ৪:১৭ অপরাহ্ণ, ২০ জানুয়ারি ২০২৩

বগুড়ার শেরপুরের শিনু এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিতে ধান-চাল কালোবাজারির অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার শেরপুর থানায় মামলা করেন শেরপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মামুন-এ-কাইয়ুম। আসামীরা হলেন, এসিআই ফুড লিমিটেডের সত্বাধিকারী (রাইস ইউনিট) আরিফ দৌলা (৪৫), সিনিয়র অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩০), শিনু এগ্রো ইন্ডাস্ট্রির সত্বধিকারী শামীমা ইসলাম (৫০) এবং ব্যবস্থাপক মো. এনামুল হক (৫২)।

মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে বলা হয়, বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার গাড়িদহের জোয়ানপুর এলাকায় মেসার্স শিনু এগ্রোফুড ইন্ডাস্ট্রিজের পাঁচটি গুদামে প্রায় ১৯২৯ দশমিক ৮৭৫ টন চাল এবং ২৫৮১ দশমিক ৬৩ টন ধান অবেধভাবে মজুদ করা হয়েছে। সরকারি হিসাবে এর মূল্য ১৫ কোটি ৩৩ লাখ ৪০ হাজার ৩৯০ টাকা।
কন্ট্রোল অব এসেনসিয়াল কমোডিটিস অ্যাক্ট-১৯৫৬ আইন অনুযায়ী, সরকারি লাইসেন্স বাদে কোন ব্যবসায়ী এক টনের বেশি খাদ্যশস্য বা সামগ্রী তার অধিকারে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না। কিন্তু এসিআই ফুড লিমিটেডে তাদের মজুদ করা ধান-চালের স্বপক্ষে কোনো নিবন্ধন বা সরকারি কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এছাড়াও তাদের মজুদ করা চাল নিষিদ্ধ প্লাস্টিক বস্তায় প্যাকেটজাত করে রেখেছে।

শেরপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মামুন-এ-কাইয়ুম বলেন, তারা কালোবাজারির উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে মজুদ করে দেশে কৃত্রিমভাবে ধান ও চালের সংকট সৃষ্টি করতে চাইছে। একই সঙ্গে বাজার অস্থিতিশীল ও মূল্য বৃদ্ধির পায়তারা করছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ (১) ২৫ ডি ধারায় মামলা করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শিনু এগ্রোতে অভিযান চালায় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী সাইফুদ্দিন। এ সময় তাদের অভিযানে কালোবাজারির উদ্দেশ্যে রাখা এসব ধান-চালের সন্ধ্যান মেলে। এরপর থেকে শেরপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার জিম্মায় রাখা হয়।

শাকিল/সাএ