শরীয়তপুরের ডিঙ্গামানিক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১২ মেম্বারের ‘অনাস্থা’

প্রকাশিত: ১২:২৭ পূর্বাহ্ণ, ২১ জানুয়ারি ২০২৩

অনিয়ম, দুর্নীতি,অর্থ আত্মসাৎ ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ সরদারের বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছেন ১২ মেম্বার (সদস্য)।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দেয়া ওই ‘অনাস্থা’ পত্রে ইউপির ১৩ মেম্বারের মধ্যে স্বাক্ষর করেন ১২ জন। ওই পত্রে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়।

অভিযোগে বলা হয়, এক বছর ধরে চেয়ারম্যান আজিজ ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন টিআর, কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের বরাদ্দ অর্থ বণ্টন এবং পরিষদের সিংহ ভাগ কাজ একক সিদ্ধান্তে বাস্তবায়ন করে আসছেন। ইউপি সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা না করে ইচ্ছেমত প্রকল্পের অর্থ বণ্টন করেন। এ ছাড়াও তিনি ইউনিয়নের নাগরিক, ওয়ারিশ ও জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সনদ দিতে অবৈধভাবে নগদ অর্থ দাবি করেন ইউপি সদস্যের মাধ্যমে।

এ ব্যাপারে ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার জসিম মাল বলেন, চেয়ারম্যান তার ইচ্ছেমত পরিষদের কাজ করেন। আমাদের কাছ থেকে শুধু রেজুলেশনে সই নেন। তারপর কোথায় থেকে কাজ ও বরাদ্দ আসে, সেই বরাদ্দ আবার কোথায় যায় তা আমরা কেউ জানি না।

৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ আলী ঢালী বলেন, গত এক বছরে যে বরাদ্দ এসেছে পরিষদে, সেই বরাদ্দ চেয়ারম্যান তার ইচ্ছেমত বণ্টন করছেন। সিংহ ভাগ কাজ তিনি নিজেই বাস্তবায়ন করেছেন। এ ছাড়া ইউনিয়নের নাগরিক, ওয়ারিশ ও জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সনদ দিতেও অবৈধভাবে আমাদের মাধ্যমে নগদ অর্থ দাবি করেন।

অভিযোগের ব্যাপারে চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ বলেন, মন্ত্রী মহোদয় এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কথার বাইরে আমি কোনো কিছু করি না। অভিযোগের বিষয়ে আমি জেনে তারপর আপনাদের জানাতে পারবো।

নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন মোল্লা বলেন, অভিযোগের ঘটনা শুনেছি। চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সঙ্গে বসে বিষয়টি জেনে তারপর সমাধানের চেষ্টা করব। নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ রাশেদউজ্জামামানকে একাধিকবার ফোন ও মোবাইলে খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

এদিকে, শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান জানান, এ বিষয়ে তিনি কোনো কিছু জানেন না। তার কাছে কোনো অভিযোগের কাগজ আসেনি।

সালাউদ্দিন/সাএ