Calcutta High Court: ছয় মাস ধরে জেলবন্দি, খুনের মামলায় ‘মৌলিক অধিকার হরণের’ প্রশ্ন বিচারপতি মান্থার

রাজারহাটে এক যুবকের মৃত্যুতে চারজনকে গ্রেফতারের ঘটনায় হাইকোর্টের প্রশ্নে আদালতের মুখে পড়ল পুলিশ। এই ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের আড়াল করে মামলা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের ভূমিকায় আদালত এতটাই ক্ষুব্ধ যে অন্য কোনও সংস্থার হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।

মামলার বয়ান অনুযায়ী, গত বছরের জুলাই মাসে ইয়ারুল মোল্লা নামে ভাঙরের এক বাসিন্দার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম হল শান্তনু মণ্ডল, ভাস্কর বিশ্বাস, বাবুসোনা বিশ্বাস এবং হরিদাস হাতি। তাদের আইনজীবীদের বক্তব্য, মৃতদের পরিবার অভিযোগ করেছে রাজনৈতিক কারণে খুন হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই মামলার প্রধান সাক্ষী দাবি করেছেন তাকে জোর করে সাক্ষ্যদানে বাধ্য করা হয়েছে। প্রকৃত দোষীদের আড়াল করতে মামলা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য অন্যদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ মামলাকারীর আইনজীবীর।

বিচারপতি পুলিশের কাছে জানতে চান, পুলিশ এভাবে কাউকে ৬ মাস জেলবন্দি রেখে মৌলিক অধিকার হরণ করতে পারে? উত্তরে রাজারহাটের এসপি সম্বিতি চক্রবর্তী আদালতকে জানান, সাক্ষ্যদান করা ব্যক্তি একজন স্নাতক। তিনি সবকিছু পড়েই সই করেছেন। বিচারপতি পাল্টা বলেন, সে ক্ষেত্রে কাউকে ভুল বুঝিয়েও সই করানো যায়। পুলিশ লিখিতভাবে নিজেদের বক্তব্য আদালতকে জানাতে চেয়েছে। মঙ্গলবারের মধ্যে সেই বক্তব্য পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। গোটা ঘটনার পর আদালত দু’পক্ষকেই হলফনামা দিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানাতে বলেছে। আগামী শুনানিতে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup