শীত পড়তেই নানা রোগজীবাণু শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই সময় ত্বক শুষ্ক হওয়া থেকে চোখের নানা সংক্রমণও দেখা দিতে থাকে। এর মধ্যে প্রায় সকলের একটি পরিচিত রোগ হল কনজাংটিভাইটিস। যাকে অনেকে বাংলায় চোখ ওঠা রোগও বলে থাকেন।এটি একটি ভাইরাসঘটিত রোগ। শীতের সময় এমন ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। এর ফলে এই সময় কনজাংটিভাইটিস হওয়া কোনও অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়।
তবে হঠাৎ এমন চোখ ওঠা রোগ হলে কাজ কর্ম নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এমনিতে এই সময় চোখে ঠান্ডা লাগার ধাত থাকে অনেকের। তার উপর চোখ উঠলে বেশ নাজেহাল হতে হয়। আট থেকে আশি প্রায় সব বয়সের মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে এই রোগ সাধারণত বড় বা দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হয় না। তাই বিশেষজ্ঞদের কথায়, লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখলেই রোগীর কষ্ট অনেকটা লাঘব করা যায়।
কী কী লক্ষণ দেখা দেয়?
চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখ জ্বালা করা, চোখের ভিতরে চুলকানি হওয়া থেকে জল পড়ার মতো একাধিক লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এছাড়াও, অল্প আলো হলেও চোখ বন্ধ হয়ে আসে। চোখের কোণে সাদা ময়লা জমার পরিমাণ এই সময় অনেকটাই বেড়ে যায়। নিয়মিত পরিষ্কার না করলে তা শুকিয়ে বসে যায়। এর ফলে চোখ খুলতে বা বন্ধ করতে সমস্যা হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগীর চোখের মণিতে ব্যথা হতে পারে।
এমনটা হলে কী করণীয়?
- কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা একটি ছোঁয়াচে রোগ। এটি বাতাসের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। তবে বারবার হাত চোখে দিলে এটি সবচেয়ে বেশি ছড়ায়। তাই চোখে অযথা চোখে হাত না দেওয়াই ভালো। এছাড়াও, চোখে হাত দেওয়ার আগে ও পরে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
- চোখের জল সাবধানে টিস্যু দিয়ে মুছতে হবে। ব্যবহার করা টিস্যু নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে যাতে নতুন করে তা থেকে রোগ না ছড়ায়।
- চোখ ঘষা বা চুলকানো যাবে না।
- চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে অ্যান্টিবায়োটিক আই ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন। তবে বাইরে গেলে সানগ্লাস ব্যবহার করুন।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup