Lalbazar: লালবাজার এবার আউটসোর্সিংয়ের পথে হাঁটছে, কোন কাজ করতে এমন পদক্ষেপ?

কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজার। আর সেখানেই গ্রুপ–ডি কর্মীর অভাব দেখা দিয়েছে। তাই প্রত্যেকটি থানা সাফ রাখার কাজ এখন শিকেয় উঠেছে। টেবিলে, ফাইলে জমছে ধুলো। নোংরা হয়ে পড়ে রয়েছে বাথরুমও। এই পরিস্থিতিতে থানাকে ঝাঁ চকচকে রাখতে ‘ক্লিনিং আউটসোর্সিং’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। তাই বিভিন্ন এজেন্সির সঙ্গে কথা চালাচ্ছেন লালবাজারের কর্তারা। খুব শীঘ্রই টেন্ডার ডাকা হবে বলে সূত্রের খবর।

ঠিক কী ঘটেছে থানায়?‌ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর থেকে ঝাঁ–চকচকে হয়েছে প্রত্যেকটি থানার ভবন। এমনকী পুরনো ভবন ভেঙে নতুন বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। বেশ কিছু থানায় সেন্ট্রাল এসি লাগানো হয়েছে। সব মিলিয়ে থানায় কাজের পরিবেশ এবং চেহারা ফিরেছে। কিন্তু সেই থানাগুলি পরিষ্কার রাখতে গিয়ে এখন কালঘাম ছুটছে কর্তব্যরত অফিসারদের। কারণ বেশিরভাগ থানাতেই বিল্ডিং ও শৌচালয় সাফ করার মতো লোকের অভাব দেখা দিয়েছে।

সমস্যাটি ঠিক কোন জায়গায়?‌ সূত্রের খবর, বহুদিন ধরে গ্রুপ–ডি পদে নিয়োগ নেই। তাই থানার ভবনগুলি পরিষ্কার করতে বাইরে থেকে লোক ডাকতে হচ্ছে। আর তাঁদের দৈনিক ভিত্তিতে টাকা দিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে বাইরে থেকে আসা সাফাইকর্মীরা ঠিক মতো সাফাই করছেন না থানার ভবন বলেও অভিযোগ উঠেছে। সবমিলিয়ে একটা সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। তাই এবার বিকল্প পথে থানার ভবন পরিষ্কার করার কথা ভাবছে লালবাজারের কর্তারা।

ঠিক কেমন হবে সেই বিকল্প পথ?‌ লালবাজারের কর্তারা এখন থানা সাফ করার জন্য আউটসোর্সিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়া হবে সাফাইয়ের দায়িত্ব। তারাই সাফাইয়ের জন্য কর্মী পাঠাবে। একটি থানায় তিন শিফটে কাজ করবেন ওই সাফাইকর্মীরা। অত্যাধুনিক মেশিন দিয়ে ঘর মোছা এবং থানার ভবন সাফ করা হবে। শৌচালয় যাতে পরিষ্কার থাকে, তার জন্য ব্যবহার করা হবে ভাল মানের ফিনাইল, অ্যাসিড, ন্যাপথলিন এবং হারপিক। যে সংস্থাকে বরাত দেওয়া হবে, তাদের কাজের মূল্যায়ন করা হবে প্রত্যেক বছর।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup