আবারও বন্দে ভারতে পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠল। এবার পেল্টা এবং ডালখোলা স্টেশনের মধ্যবর্তী জায়গায় সেমি হাইস্পিড ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে আপাতত কোনও তথ্য মেলেনি।
২০২৩ সালের শুরু হয় রাজ্যের প্রথম সেমি-হাইস্পিড বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। যাত্রী পরিষেবার শুরু থেকেই এই ট্রেনে পাথর ছুড়ে হামলা করা হয়। তারপর বারবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে হামলা চালানো হয়। প্রথমবার মালদা ঢোকার পথে কুমারগঞ্জ, ঠিক তার পরদিন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়া হয়।
উল্লেখ্য, যাত্রী পরিষেবা চালুর পরই পরপর দু’দিনে দু’বার পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছিল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে। যা নিয়ে শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক তরজা। এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি নেতাদের অভিযোগের আঙুল ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। তবে জানা যায়, দ্বিতীয় পাথর ছোড়ার ঘটনাটি ঘটেছিল বিহারে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, বন্দে ভারতে পাথর ছোড়ার ঘটনাটি ঘটেছিল এনজেপি ঢোকার কিছু আগে। বিহার–বাংলা সীমান্তে এই ঘটনা ঘটে। পাথর ছোড়ার ঘটনায় রাজ্য জিআরপি এবং রাজ্য পুলিশের সঙ্গে তদন্ত করে তিন নাবালককে গ্রেফতার করে। ট্রেনে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরাতে বন্দি হওয়া ভিডিয়ো থেকেই চিহ্নিত করা হয়েছে এই তিন অভিযুক্তকে।
এবার ঠিক কী ঘটল? অভিযোগ, শুক্রবার বিকেলে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে হাওড়া ডাউন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছুড়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এবার পেল্টা এবং ডালখোলা স্টেশনের মধ্যবর্তী জায়গায় ওই ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, ক্ষতিগ্রস্ত হয় ট্রেনটির সি–৬ কামরা। বিহারের দিক থেকে এবারও ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়।
যদিও বিষয়টি নিয়ে ‘হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা’-কে পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আপাতত এরকম কোনও তথ্য মেলেনি। সংক্ষেপে তিনি বলেন, ‘জানি না এখনও।’