চাকরি দেওয়ার নামে ৩০,০০,০০,০০০ টাকা ঘুষ নিয়েছেন কুন্তল, আদালতে বিস্ফোরক দাবি ED

১৯.৫ কোটি নয়, চাকরিপ্রার্থীদের থেকে প্রায় ৩০ কোটি টাকা তুলেছিলেন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। ধৃত তৃণমূল নেতাকে আদালতে পেশ করে এমনই দাবি করল ED. শনিবার সকালে গ্রেফতারের পর দুপুরে কুন্তলকে ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিশেষ ইডি আদালতে পেশ করেন তদন্তকারীরা। সেখানেই চাঞ্চল্যকর এই দাবি করেন ইডির আইনজীবী। কুন্তলকে হেফাজতে চেয়েছেন তদন্তকারীরা।

এদিন আদালতে ইডির আইনজীবী বলেন, কুন্তলের বাড়িতে তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে একটি কালো ডায়েরি। সেই ডায়েরিতে টাকার লেনদেনের হিসাব রয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে ২০১৬ সাল থেকে চাকরি পাইয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোট ৩০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন কুন্তল। সেকথা স্বীকারও করেছেন অভিযুক্ত।

ইডির আইনজীবী আরও বলেন, তদন্তের শুরুতে আমরা ভেবেছিলাম ভারত মহাসাগরের সমান দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু এখন দেখছি এটা প্রশান্ত মহাসাগর। তিনি বলেন, ডিএলএডে অফলাইন ভর্তি ছাড়াও প্রাথমিকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে ঘুষ নিয়েছেন কুন্তল। ঘুষ নিয়েছেন উচ্চ প্রাথমিক, নবম – দশম, একাদশ – দ্বাদশ, গ্রুপ ডি ও গ্রুপ সি নিয়োগেও।

আদালতে ইডির আইনজীবী বলেন, কার মাধ্যমে তিনি চাকরির ব্যবস্থা করতেন তা জানতে চান গোয়েন্দারা। আরও কারও কাছ থেকে তিনি টাকা নিয়েছেন কি না তাও খতিয়ে দেখার দরকার রয়েছে। একথা জানিয়ে অভিযুক্তকে ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়েছে ইডি।

পালটা কুন্তল ঘোষের আইনজীবী বলেন, কুন্তলকে টাকা দিয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। যে টাকা দিল তার বিরুদ্ধে ইডি কোনও ব্যবস্থা নিল না অথচ তদন্তে সহযোগিতা করেও গ্রেফতার হলেন কুন্তল। শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছে আদালত।

এর আগে সংবাদমাধ্যমের সামনে মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল দাবি করেছিলেন, তাঁর পরিচিতদের কাছ থেকে মোট ১৯ কোটি ৪৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন কুন্তল। তবে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, আরও অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। তাপসবাবুর সেই অনুমানই সত্যি প্রমাণিত হল। 

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup