Amartya Sen and Nandana Sen: বাবার পাশে হাঁটলেন মেয়ে, শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য-নন্দনার ‘বিরল’ ছবি চর্চায়

অমর্ত্য সেন এবং নন্দনা সেন। বাবা এবং মেয়ে। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ সম্পর্কে আলাদা করে কিছু বলার নেই। তিনি নিজের ক্ষেত্রে দিকপাল, সর্বজন পরিচিত এক নাম। কন্যা নন্দনা অবশ্য একেবারেই অন্য মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত। পেশাদার অভিনেত্রীও যথেষ্ঠ খ্যাতনামী। নিজ নিজ জগতে নামজাদা হলেও, তাঁদের খুব একটা একসঙ্গে দেখা যায় না। আর সেই কারণেই তাঁদের একসঙ্গে ছবি বেশ বিরল। হালে তেমনই এক বিরল ছবি দেখা গেল। এবং সৌজন্যে নন্দনাই।

অমর্ত্য সেন এবং নবনীতা দেব সেনের কন্যা নন্দনা। বাবা এবং মায়ের বিচ্ছেদের পরে দীর্ঘ সময় মায়ের কাছেই কাটিয়েছেন অভিনেত্রী। কখনও সখনও তাঁকে গিয়েছে বাবার সঙ্গে। কিন্তু তার ছবিও বিশেষ পাওয়া যায় না। তবে এই দু’জনের শিকড়ই রয়েছে শান্তিনিকেতনের সঙ্গে জুড়ে। আর সেই সূত্রেই বীরভূমে হাজির হয়েছিলেন দু’জনে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় নন্দনা দিলেন বাবার সঙ্গে সেই ছবি। মুহূর্তে সেই ছবি ভাইরাল হয়ে গেল। শান্তিনিকেতনের রাস্তায় পাশাপাশি হাঁটছেন বাবা আর মেয়ে। ছবির সঙ্গে নন্দনা লিখলেন, দু’টি বাক্য। প্রথমটি আব্রাহাম লিঙ্কনের একটি উক্তি। আর দ্বিতীয়টি তাঁর নিজের একটি কথা।

নন্দনা লিখেছেন, ‘আমি আস্তে হাঁটি। কিন্তু কখনও উলটো দিকে হাঁটি না— আব্রাহাম লিঙ্কন’। এর পরে তিনি লিখেছেন, ‘আমিও আমাদের এই ধীরে, গল্প করতে করতে হাঁটাটা সব সময়ে ভালোবাসি।’ শান্তিনিকেতনের রাস্তায় বাবা অমর্ত্য সেনের সঙ্গে তাঁর এই ছবি দেখে অনেকেই আবেগতাড়িত হয়েছেন।

শান্তিনিকেতনের সঙ্গে অমর্ত্য সেনের দীর্ঘ দিনের যোগাযোগ। এখানে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যাও অনেক। অনেকেই নোবেলজয়ীর প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা ব্যক্ত করেছেন। কেউ কেউ তাঁর স্বাস্থ্য নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কেউ আবার কন্যাকে পরামর্শ দিয়েছেন, তাঁর বাবার স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে।

২০১৯ সালে নবনীত দেব সেন প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর এবং অমর্ত্য সেনের সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে এক সময়ে বহু চর্চা হয়েছে। কিন্তু পরস্পরের প্রতি সম্মান দেখিয়ে দুই খ্যাতনামা মানুষই ব্যক্তিগত বিষয়কে কখনও প্রকাশ্যে আনেননি। কিন্তু তাঁদের কন্যারা যে সব সময়েই দু’জনের মধ্যে সেতু হিসাবে রয়ে গিয়েছেন, সে কথা জানাতেন দু’জনেই। আজ এত বছর পেরিয়ে বাবা এবং মেয়ের ছবি যেন সেই বহু যুগের স্মৃতিই আবার উসকে দিল অনেকের মনে। অনেকেই ফিরে গেলেন অমর্ত্য সেন এবং নবনীতা দেব সেনের স্মৃতিতে। বহু বছর আগের নানা ঘটনায়।