Conman Sukesh’s fancy life in jail: ফ্রিজে নোট, মডেল-অভিনেত্রীদের আনাগোনা – জেলে ‘ফাইভ-স্টার’ জীবন ‘ঠগবাজ’ সুকেশের

শৌখিন ঘরে ডায়সন পাখা, প্লে-স্টেশন, এসি। ফ্রিজে মিষ্টির বাক্সে রাখা টাকা। চারিদিকে ছড়িয়ে অ্যাপেলের সামগ্রী, রোলেক্স ঘড়ি, ডিজাইনার ব্যাগ। ২০১৮ সালের প্রথম ভাগে তিহাড় জেলে নাকি এমনই বিলাসবহুল জীবন কাটাত ‘ঠগবাজ’ সুকেশ চন্দ্রশেখর। যার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে। শুধু তাই নয়, জেলের মধ্যে মডেল-অভিনেত্রীদেরও আনাগোনা ছিল বলে দাবি করা হয়েছে।

সুকেশের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার প্রতারণার যে অভিযোগ উঠেছে, সেই মামলায় গত ১৬ জানুয়ারি দিল্লির একটি আদালতে পুলিশ পেশ করা চার্জশিটে ‘কনম্যান’-র ‘সহযোগী’ পিঙ্কি ইরানি-সহ কমপক্ষে চার মহিলার বয়ান আছে। প্রতারণাকাণ্ডে পিঙ্কির বিরুদ্ধেও মামলা রুজু করা হয়েছে। বাকি তিন মহিলা (নিকিতা তাম্বোলি, চাহাদ খান্না এবং সোফিয়া সিং) ২০১৮ সালে তিহাড় জেলে সুকেশের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁদের সাক্ষী হিসেবে দেখিয়েছে পুলিশ। 

এমনিতে প্রতারণা মামলায় (যে মামলায় ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছেন বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ, নোরা ফতেহি) ইতিমধ্যে চারটি চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। পাঁচজন জেল আধিকারিক-সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। যে জেল আধিকারিকদের বিরুদ্ধে সুকেশকে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নয়া চার্জশিটে তো আরও ভয়ঙ্কর অভিযোগ করা হয়েছে। নিকিতারা দাবি করেছেন, জেলের মধ্যেই অভিনেত্রী এবং মডেলদের সঙ্গে দেখা করানোর জন্য পিঙ্কিকে টাকা দিত সুকেশ।

আরও পড়ুন: ২০০ কোটির জালিয়াতি মামলায় অভিযুক্ত! বিদেশ যেতে আদালতের অনুমতি চাইলেন জ্যাকলিন

নিকিতা দাবি করেছেন, ২০১৮ সালের মার্চে চন্দ্রশেখরের সঙ্গে দেখা করানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন পিঙ্কি। তারপর এপ্রিলে তিহাড়ে গিয়েছিলেন। জেলে সুকেশের ঘর কেমন ছিল, তা নিয়ে নিকিতা দাবি করেছেন, চারিদিকে প্রচুর Gucci-র ব্যাগ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। তাঁকে একটি ব্যাগ এবং নগদ দু’লাখ টাকা দেওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয়, তিনি যখন সুকেশের ঘরে যাচ্ছিলেন, সেইসময় মুখে ওড়না জড়িয়ে এক মহিলাকে বেরিয়ে আসতে দেখেছিলেন। যাঁর কাছে ডিজাইনার ব্যাগ ছিল।

নিজের বয়ানে নিকিতা বলেছেন, ‘বিএমডব্লুউ গাড়ি চেপে আমরা তিহাড়ের তিন নম্বর গেটে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে একটি ইনোভা গাড়িতে চাপিয়ে আমাদের জেলের চত্বরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সুরক্ষার জন্য কোনও পরীক্ষা হয়নি। পরিচয়পত্রও চাওয়া হয়নি। ওখানে (জেলের মধ্যে) অ্যাঞ্জেলের (ইরানি) সঙ্গে সিঁড়ি দিয়ে উঠে গিয়েছিলাম। সেখানে একজন মহিলা এবং দু’জন পুরুষদের সঙ্গে সুকেশকে (চন্দ্রশেখর) বসে থাকতে দেখেছিলাম। তারপর অ্যাঞ্জেল নামায় নীচে অপেক্ষা করতে বলেছিল এবং আমায় পুলিশ নীচে গিয়েছিল।’

সোফিয়া দাবি করেছেন, সিনেমার প্রয়োজক হিসেবে সুকেশের পরিচয় দেওয়া হয়েছিল। যে নাকি তাঁকে নিজের সিনেমায় নিতে চাইছেন। যিনি দাবি করেছেন, তিহাড় জেলে সুকেশের ঘরে ‘ফুডবারও’ ছিল। আবার চাহাদ দাবি করেছেন, তাঁকে বলা হয়েছিল যে সুকেশ নাকি বড় মিডিয়া সংস্থার মালিক। তিনি যখন জেলে সুকেশের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন, তখন তাঁর ঘরে বড় টিভি, ব্লুটুথ স্পিকার-সহ প্রচুর বিলাসবহুল সামগ্রী দেখেছিলেন বলে দাবি করেছেন চাহাদ।

আরও পড়ুন: ২০০ কোটির আর্থিক প্রতারণা মামলায় গ্রেফতার জ্যাকলিন-সুকেশের দেখা করানো পিঙ্কি ইরানি

যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুকেশের আইনজীবী অনন্ত মালিক। বিষয়টি নিয়ে ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-র তরফে অনন্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, সুকেশকে বাজেভাবে উপস্থাপিত করার জন্য জেলের মধ্যে অভিনেত্রী-মডেলদের নিয়ে আসার অভিযোগ তোলা হয়েছে। সেইসঙ্গে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা ২০১৮-১৯ সালে হয়েছিল। কিন্তু এখন যে ২০০ কোটি টাকার মামলা চলছে, সেটা তো ২০২০-২১ সালে ঘটেছিল বলে দাবি করা হয়েছে।

(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)