Nandigram Attack: নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা হামলা, অভিযোগের তির বিজেপির দিকে

এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে উত্তপ্ত হয়ে উঠল নন্দীগ্রাম। বুধবার মাঝরাতে নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের গোকুলনগর পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বাড়িতে বোমা চার্জ করে হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ কমিটির সদস্য বুদ্ধদেব মুনিয়ানকে মারতেই তাঁর বাড়িতে বোমাবাজি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও তাঁর স্ত্রী গুরুতর জখম হয়েছেন। এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। বিজেপি কর্মীরাই এই হামলা করেছে বলে দাবি আহত বুদ্ধদেবের।

ঠিক কী ঘটেছে নন্দীগ্রামে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, রাত সাড়ে ১২টার সময় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। তারপরই প্রচণ্ড চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় এলাকাবাসীর। বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখা যায়, একদল দুষ্কৃতী বুদ্ধদেবের বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে মোটরবাইক ভাঙচুর করছে। ওই মোটরবাইকটি বুদ্ধদেব মুনিয়ানের। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ওই বাড়িতে একটি বোমা ছোড়া হয়। আর সেটার প্রবল বিস্ফোরণ হয়। আহত হন বুদ্ধদেব এবং তাঁর স্ত্রী। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথ শক্তিশালী করার কাজ করছিলেন বুদ্ধদেব মুনিয়ান। তাঁর উপর এই হামলা হেরে যাবে বুঝতে পেরেই বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস।

ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা?‌ রাতের অন্ধকারে তাঁকে মেরে ফেলতেই এই হামলা চালানো হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে বুদ্ধদেব বলেন, ‘যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের মধ্যে দু’জনকে আমি চিনতে পেরেছি। ওরা বিজেপি করে। আমাকে, আমার পরিবারকে গালাগালি দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস করি বলে। ওরা শাসানি দিয়ে গিয়েছে, যদি আমি তৃণমূল কংগ্রেস না ছাড়ি তা হলে আবারও আমায় হামলা করা হবে। প্রাণে মেরে ফেলতে চেয়েছিল তারা। পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে পুলিশকে সব জানিয়েছি। এখন ভয় পাচ্ছি।’‌

কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপি?‌ এই ঘটনা নিয়ে আজ নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, ‘‌বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বুথ কমিটির সদস্য বুদ্ধদেব মুনিয়ানের বাড়িতে হামলা চালায়। এখন মহেশপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। এভাবে বোমাবাজি করে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভয় দেখানো যাবে না।’ এই ঘটনার সঙ্গে তাদের যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‌নন্দীগ্রামে হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি কর্মীদের ওপর অত্যাচার চলছে। এই ঘটনার নেপথ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে। বিজেপি কোনওভাবে জড়িত নয়।’‌ বিরোধী দলনেতার বিধানসভা কেন্দ্রে এমন অভিযোগ ওঠায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।