Supreme court order on abortion: ২৯ সপ্তাহ পর গর্ভপাত, তরুণীর ইচ্ছেকে সম্মতি দিয়ে এইমসকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

২৯ সপ্তাহ গর্ভধারণের পর গর্ভপাত। দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এইমস)-কে এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হল সুপ্রিম কোর্টের তরফে। বৃহস্পতিবার এর জন্য জরুরি অবস্থায় বিশেষজ্ঞদের দল গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়।

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পি এস নরসিমা এবং জে বি পারদিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চ এইমসকে এই সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় পরীক্ষানিরীক্ষার পর একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেন। এদিন অবিবাহিত ২০ বছর বয়সি এক বি টেক ছাত্রীর আবেদনের ভিত্তিতে এমন নির্দেশ দেওয়া হয়।

একইসঙ্গে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলকে (এএসজি) এই মামলায় আদালতকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে বলা হয়। এদিন মেয়েটির তরফে উপস্থিত আইনজীবী ডিভিশন বেঞ্চকে জানান, তাঁর মক্কেল গাজিয়াবাদের একটি হোস্টেলের বাসিন্দা। প্রায় ২৯ সপ্তাহ ধরে তিনি গর্ভাবস্থায় রয়েছেন। তবে এটি তার অবাঞ্ছিত। তাই তিনি গর্ভপাতে ইচ্ছুক।

মামলার রায়ে প্রধান বিচারপতি জানান, এই পর্যায়ে আমরা এমন আদেশ দেওয়াটাই উপযুক্ত বলে মনে করছি। প্রথমে আবেদনকারীকে এইমসের একটি বিশেষজ্ঞ মেডিক্যাল বোর্ড মূল্যায়ন করবে। এর জন্য এইমসের পরিচালককে ২০ জানুয়ারি একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনওরকম জটিলতা ছাড়াই গর্ভপাত করা যায় কিনা সে বিষয়েও দলকে একটি রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়। শীর্ষ আদালতের রেজিস্ট্রারকে নির্দেশটি এইমসের নির্দেশককে পাঠানোর কথাও বলা হয়।

সাধারণত, ১৩ থেকে ২৭ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত ঘটানো হলে তাকে লেটার টার্ম অ্যাবোর্শন বা দেরি করে গর্ভপাত বলা হয়। তবে এই ক্ষেত্রেই যথেষ্ট জটিলতা দেখা দিতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের মতামত। সেখানে বর্তমান পরিস্থিতিতে ২৯ সপ্তাহের গর্ভপাত কতটা নিরাপদে করা সম্ভব, সেটাই খতিয়ে দেখবে বিশেষজ্ঞদের দল। তবে কিছু বিশেষজ্ঞদের কথায়, কখনও কখনও ২৭ সপ্তাহের পরে অর্থাৎ তৃতীয় ট্রাইমেস্টােরেও গর্ভপাতের ঘটানোকে লেটার টার্ম অ্যাবোর্শন বলা হয়। চিকিৎসকের কথায়, এই গর্ভপাতের জন্য সার্জিক্যাল পদ্ধতি অর্থাৎ অস্ত্রপচারের সাহায্য নেওয়া হয়। ফলে এক্ষেত্রে জটিলতার পরিমাণ অনেকটাই বেশি হয়।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup