CJI Chandrachud on ‘basic structure’: ‘যুগান্তকারী’, ৫০ বছর পুরোনো সুপ্রিম রায় নিয়ে ধনখড়ের ভিন্নমত CJI চন্দ্রচূড়ের

১০ দিন আগেই সংবিধানের ‘মৌলিক কাঠামোর মতবাদ’ সংক্রান্ত অর্ধ শতাব্দী পুরোনো সুপ্রিম রায়ের সমালোচনা করেছিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। সেই একই রায়ের এবার প্রশংসা করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জাস্টিস ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তাঁর কথায়, সাংবিধানিক বিষয়ক মামলায় সেই রায়ই বিচারপতিদের কাছে দ্রুবতারা হয়ে রয়েছে। এর আগে ধনখড় বলেনছিলেন, ১৯৭৩ সালে কেশবানন্দ ভারতী মামলায় সংসদ বা বিধানসভার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি ২০১৫ সালে এনজেএসি আইন বাতিল করা নিয়েও ফের সরব হন ধনখড়। (আরও পড়ুন: ‘কে শাহরুখ খান?’, অসমে ‘পাঠান তাণ্ডবে’র পর মোদীর নির্দেশ ‘অমান্য’ হিমন্তের?)

এদিকে বম্বে বার অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা আয়োজিত ১৮তম ননী পালখিওয়ালা স্মারক বক্তৃতার সময় প্রধান বিচারপতি জোর দিয়ে বলেন, কেশবানন্দ ভারতী মামলার রায় সংবিধানের আত্মাকে অক্ষত রাখতে সহায়তা করেছ। এই রায়কে যুগান্তকারী আখ্যা দিয়েছেন তিনি। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমাদের সংবিধানের মৌলিক কাঠামো দ্রুব তারার মতো। যখন সামনের পথ জটিল হয়, তখন সংবিধানের ব্যাখ্যাকারী এবং বাস্তবায়নকারীদের একটি নির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা দেয় এটি। আমাদের সংবিধানের মৌলিক কাঠামো বা দর্শন সংবিধানের আধিপত্য, আইনের শাসন, ক্ষমতার পৃথকীকরণ, বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনা, ধর্মনিরপেক্ষতা, যুক্তরাষ্ট্রীয়তা, ব্যক্তির স্বাধীনতা ও মর্যাদা এবং জাতির ঐক্য ও অখণ্ডতা।’

এদিকে ১৯৭৩ সালে কেশবানন্দ ভারতী মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রসঙ্গে গত ১১ জানুয়ারি জয়পুরের এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় বলেছিলেন, ‘আমি ওই রায়ের সঙ্গে একমত নই। সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর কথা বলে সুপ্রিম কোর্ট একাধিক আইন খারিজ করে দিয়েছে। এতে সংসদের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপস করা হয়েছে। যে কোনও মূল কাঠামোর মূল হল মানুষের রায়। তাই সংসদ বা বিধানসভার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করা যায় না।’

উল্লেখ্য, এর আগেও কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন জগদীপ ধনখড়। তিনি কলেজিয়াম নিয়ে বলেছিলেন, ‘বিচারপতি নিয়োগের নতুন ব্যবস্থা তৈরি করতে ঐতিহাসিক জাতীয় বিচারবিভাগীয় কমিশন বিল পাশ হয়েছিল লোকসভা ও রাজ্যসভায়। সুপ্রিম কোর্টের তরফে সেই বিল বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। সংসদের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপসের একটি উদাহরণ ছিল সেটি। মানুষের রায়কে অস্বীকার করা হয় সেই রায়ের মাধ্যমে।’ এদিকে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে কলেজিয়ামের প্রস্তাবিত বহু নাম বারবার খারিজ করেছে সরকার। সম্প্ররতি কলেজিয়াম প্রক্রিয়ার অংশ হতে চেয়ে চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী। এই আবহে কেন্দ্রের সঙ্গে বিচার বিভাগের দ্বন্দ্ব ক্রমেই বাড়ছে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup