Diabetes hidden reasons: চিনি ও মিষ্টি খাওয়া বন্ধ, তাও বাড়ছে ডায়াবিটিস? আসল কারণটা এড়িয়ে যাচ্ছেন না তো

চিনি সেভাবে খাওয়া হয় না, তারপরেও কিছুতেই বাগ মানছে ডায়াবিটিস। এমন ঘটনা প্রায়ই দেখা যায়। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটার কারণটাই বা কী। বিশেষজ্ঞদের কথায়, মিষ্টি কম খাওয়া, চায়ে চিনি এড়িয়ে চলার মতো অভ্যাস করে নিলেই যে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে তা নয়। বরং এরপরেও রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার ভালোরকম আশঙ্কা রয়েছে। কীভাবে? চিকিৎসকদের কথায়, আমাদের রোজকার খাবারদাবারই এর জন্য দায়ী।

মিষ্টি জিনিস এড়িয়ে চললেও আমরা প্রায়ই রাস্তার তেলেভাজা বা কনফেকশনারির দোকানের ফাস্টফুড কিনে খেতে পছন্দ করি। ভাবি, এতে চিনি নেই বলে তেমন চাপ নেই। তবে এর মধ্যে থাকা বেশ কয়েকটি ক্ষতিকর পদার্থই আসলে বারোটা বাজাচ্ছে শরীরের। বাড়িয়ে দিচ্ছে ডায়াবিটিস। চিকিৎসকদের কথায়, দোকানের পাঁউরুটি, সকালের জলখাবার, কেচাপ, ফ্লেভারড দই, দোকান থেকে কিনে আনা স্যালাডে প্রচুর পরিমাণে অ্যাডেড সুগার থাকে। এই অ্যাডেড সুগারই টাইপ ২ ডায়াবিটিসের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি হার্টের সমস্যা, লিভারের অসুখ ও দাঁত ক্ষয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দেয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের রোজকার খাদ্যতালিকা থেকে ১০ শতাংশ অ্যাডেড সুগার বাদ রাখা উচিত। সম্প্রতি ভক্তি কাপুর তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এই অ্যাডেড সুগারের প্রভাব নিয়ে বলেন। কীভাবে এগুলি মানুষের চোখ, হৃদযন্ত্রসহ লিভারের ক্ষতি করছে সে কথাই তুলে ধরেন তিনি। তাঁর কথায় এই অতিরিক্ত শর্করা মস্তিষ্কেরও ক্ষতি করতে পারে।

মস্তিষ্কে কীভাবে প্রভাব ফেলছে অ্যাডেড সুগার?

সুগার এমনিতে নেশা উৎপাদনকারী (অ্যাডিক্টিভ) দ্রব্য। ফলে রক্তে বেশি পরিমাণে সুগার থাকলে তা মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এর থেকে মানসিক দুশ্চিন্তা, মাথা ব্যথা, ক্লান্তিভাব, বিরক্তি ও খিদে বেড়ে যায়।

চোখের উপর সুগারের প্রভাব

রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকলে তা প্রতিটি রক্তনালিকেই বাজেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। চোখের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রক্তনালিকেও একইভাবে প্রভাবিত করে রক্তের অতিরিক্ত শর্করা। এর ফলে ঝাপসা দৃষ্টি, ক্যাটারাক্ট, গ্লুকোমা, রেটিনোপ্যাথির সমস্যা দেখা দিতে পারে।

হার্টের উপর প্রভাব

হৃদযন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকা ধমনী শক্ত করে দেয় রক্তে সুগারের উপস্থিতি। সুগার থেকে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। প্রাপ্তবয়স্ক ডায়াবিটিক রোগীদের বেশিরভাগেরই মৃত্যু হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকে হয়।