Gujarat Court on Cow Slaughtering: গরুর একফোঁটা রক্ত না ঝরলেই পৃথিবীর সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে: গুজরাটের আদালত

গো-হত্যা বন্ধ হয়ে গেলেই পৃথিবীর সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এমনই মন্তব্য করল গুজরাটের তাপির একটি আদালত। যে মামলায় ওই মন্তব্য করেছে গুজরাটের আদালত, তাতে অবৈধভাবে গরু নিয়ে যাওয়ার জন্য এক যুবককে যাবজ্জীবনের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে।

‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের নভেম্বরে সেই মন্তব্য করেছিলেন মুখ্য জেলা বিচারক বিনোদচন্দ্র ব্যাস। বেআইনি গরু নিয়ে যাওয়া সংক্রান্ত একটি মামলায় সেই মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর মতে, আর পাঁচটা প্রাণীর মতো নয় গরু। কারণ গরুকে গো-মাতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই গো-হত্যায় ইতি টানা উচিত। তাহলেই পৃথিবীর সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গুজরাটের ওই আদালতের বিচারক বলেন যে ‘গরু নেহাত কোনও প্রাণী নয়। কিন্তু গরু হল মা। তাই গরুকে মায়ের তকমা দেওয়া হয়েছে। গরুর মতো কেউ কৃতজ্ঞ হয় না। ৬৮ কোটি পবিত্র স্থান ও ৩৩ কোটি দেবদেবীর জীবন্ত গ্রহ।’ তিনি আরও বলেন, ‘যখন পৃথিবীতে গরুর একফোঁটাও রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে, তখন বিশ্বের সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এবং বিশ্বের মঙ্গল হবে।’

আরও পড়ুন: রাজ্যের চৌহদ্দির মধ্যে গরু নিয়ে গেলে আইন ভাঙা হয় না,জানিয়ে দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট

কোন মামলায় সেই মন্তব্য করেছেন বিচারক? ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাকে চাপিয়ে বেআইনিভাবে ১৬ টি গরু-সহ বাছুরদের মহারাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ২০২০ সালের ২৭ অগস্ট মহম্মদ আমিন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যে ট্রাকে গবাদি পশুদের বসার, খাওয়ার বা পান করার উপযুক্ত জায়গা ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৭ সালের গুজরাট প্রাণী সংরক্ষণ (সংশোধনী) আইন, ১৯৬০ সালের পশুদের উপর নৃশংসতা বিরোধী আইন-সহ একাধিক আইনের ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল।

সেই মামলায় মহম্মদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে তাপির আদালত। সঙ্গে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, রায়ে বিচারক জানিয়েছেন যে গরুকে শুধুমাত্র ধর্মীয় দিক থেকে বিবেচনা করা উচিত নয়। আর্থিক, সামাজিক, বৈজ্ঞানিক এবং স্বাস্থ্যগত দিকও বিবেচনা করা উচিত। অথচ এখন যান্ত্রিকভাবে গো-হত্যা করা হচ্ছে। যা গরুদের ‘জীবনের বড় বিপদ’ বলে মন্তব্য করেছেন বিচারক।

আরও পড়ুন: Bakrid: ‘একটি গো-হত্যাও যেন না হয়,’ ডিজিপিকে নির্দেশ দিলেন মহারাষ্ট্রের স্পিকার

ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, রায়ে বলা হয়েছে যে ‘আমিষ খাওয়া মানুষ মাংস খান। সেই কারণে গরুর মাংসও ব্যবহার করা হয়। গো-জাত পণ্য মানুষের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওই পণ্যগুলি বলতে দুধ, দই, ঘি, গোরব ও গোমূত্র বলা হচ্ছে।’

(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)