কমলালেবুর কোয়া খেতে খেতে হঠাৎ বীজে কামড় পড়লেই মুখ তেতো হয়ে যায়। সে স্বাদে ইস্ করে ওঠেন অনেকেই। আসলে কমলালেবুর খেতে মিষ্টি হলেও এর বীজ তেতো হয়। তাই এটি খাওয়া যায় না। কমলালেবুর খাওয়ার সময় বীজ বেছে মুখ থেকে ফেলে দেওয়াই নিয়ম। কিন্তু তেতো বলে এর কী কোনও গুণ নেই? আদতে কিন্তু তা নয়। অনেকে ভাবেন কমলালেবুর বীজের কোনও গুণ নেই। কিন্তু আসল সত্যিটা অন্য। বিশেষজ্ঞদের কথায়, এই বীজ শরীরের একাধিক ঘাটতি মেটায়।
কমলালেবুর রস আর খোসার গুণের কথা অনেকেই জানেন। তেমনই পুষ্টিগুণে ভরপুর কমলালেবুর বীজও। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ শীতকালের এই ফলের অনেক স্বাস্থ্যগুণ। একই তালিকায় রয়েছে এর কোয়ার বীজও। চলুন দেখে নিই, এই ফলের বীজ স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর: কমলালেবুর মতোই এর বীজেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই বীজ শরীর থেকে টক্সিক পদার্থ বার করে দেয়। এর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও স্ট্রেস দূর করতে সাহায্য করে কমলালেবুর বীজ।
ভিটামিন সি জোগায়: শীতে জ্বর ও সর্দিকাশির সমস্যা লেগেই থাকে। এই অবস্থায় কমলালেবুর বীজ খেলে কিন্তু উপকারই হয় শরীরের। কোয়ার বীজের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই পুষ্টি উপাদান সংক্রমণ এড়াতে সাহায্য করে।
শরীরের দুর্বলতা কমায়: শরীরে দুর্বলতা থাকলে তা নিমেষে সারিয়ে তোলে কমলালেবুর বীজ। এই বীজের মধ্যে রয়েছে পালমিটিক, ওলেইক ও লিনোলেইক নামের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাসিড। এই অ্যাসিডগুলি দেহের কোষকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
ত্বকের যত্ন: ত্বকের যত্ন নিতে অনেকেই কমলালেবুর রস ও খোসা ব্যবহার করেন। বীজেও কিন্তু একই পুষ্টিগুণ রয়েছে। বীজ ত্বকের সমস্যা দূর করে। নিয়মিত যারা রূপচর্চা করেন , তাদের কাছে জনপ্রিয় হল কমলালেবুর খোসা। একইভাবে, কমলালেবুর বীজ দিয়েও ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়।
খুশকির সমস্যা দূর করে: ত্বকের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি চুলেরও যত্ন নেয় কমলালেবুর বীজ। কমলালেবুর বীজ দিয়ে প্রথমে তেল বানিয়ে নিন। শীতে অনেকের খুশকি হয়। এই তেল খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। তাছাড়া বীজ থেকে তৈরি তেল স্ক্যাল্প কোনও সংক্রমণ হলে তা সারিয়ে তোলে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup