‌Prostitution: দেহব্যবসার পর্দা ফাঁস করল শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ, কী ঘটছিল হোটেল রুমে?‌

ছুটির দিনে শিলিগুড়ি শহরের রাত হয়ে ওঠে রঙিন। হিমেল পরশ গায়ে মেখে হোটেলগুলিতে চলে শরীরী খেলা। লাল কার্পেট থেকে নষ্ট রাতে দুনিয়া এখানেই ধরা দেয়। আর তাতে আসা খদ্দেররা আষ্টেপিষ্টে নিজেদের বেঁধে ফেলে। এই ঠান্ডার রাতে শিলিগুড়িকে উত্তপ্ত করছে রাজ্যের বাইরে থেকে আসা যুবতীরা। গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সেখানে সাজানো হয় মেয়েদের বাজার বলে অভিযোগ। যা এবার বমাল ধরে ফেলল পুলিশ।

ঠিক কী ঘটেছে শিলিগুড়িতে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, এখানের হোটেলগুলিতে চলে দেহ ব্যবসা। তার ফলে হোটেল লাগোয়া জনবসতিপূর্ণ বাড়িগুলিতে নিরাপত্তার অভাব দেখা দেয়। তাই পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। তারপরই শনিবার রাতে এই ঘটনার পর্দা ফাঁস করল শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ, স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ এবং প্রধান নগর থানার পুলিশ।

পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, শিলিগুড়ির শালবাড়ি এলাকায় অবস্থিত তিনটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে এই দেহব্যবসার পর্দা ফাস করা হয়েছে। হোটেলগুলি থেকে চারজন যুবতীকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ৮জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা হল, উমেশ আগরওয়াল, অরবিন্দ তিওয়ারি, দীপক শর্মা, ভেঙ্কটেশ কুমার চন্দক, রবি কুমার গুড্ডু, গৌতম কুমার, অলক রাজ এবং দীপক কুমার। উমেশ আগরওয়াল এই ব্যবসার মাস্টারমাইন্ড। উমেশ বাইরের রাজ্য থেকে আসা গ্রাহকদের মোবাইলের মাধ্যমে মেয়েদের ছবি পাঠাত। তারপর দরদাম করে সেখানে চাহিদা মতো মেয়েদের পাঠাত। তার জন্য নেওয়া হতো মোটা অঙ্কের টাকা।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ সপ্তাহের ছুটির দিনগুলি শিলিগুড়ির বিভিন্ন হোটেলে চলত রমরমিয়ে দেহব্যবসা। সেই মতো শনিবারও হাওড়া এবং বিহার থেকে আসা যুবতীদের আনা হয়েছিল। প্রধান নগর থানার অন্তর্গত শালবাড়ি এলাকায় অবস্থিত একটি হোটেলে সাতজনের জন্য একটি রুম বুকিং করে চারজন যুবতীকে সেখানে পাঠানো হয়। এই খবর পাওয়া মাত্রই এসওজি, ডিডি এবং প্রধান নগর থানার পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে এই গোটা ব্যবসার পর্দা ফাঁস করে। আজ, রবিবার তাদের শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup