বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শিক্ষকের মৃত্যু

প্রকাশিত: ৬:৪৬ অপরাহ্ণ, ২৩ জানুয়ারি ২০২৩

নবীগঞ্জে আউশকান্দি রশিদিয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে প্রতিদিনই আসতেন হেটে হেটে। ক্লাসে ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখা করে মানুষের মতো মানুষ হওয়ার তাগিদ দিতেন শিক্ষক মনসুর আলম। রবিবার রাতে শেষবারের মতো চিরচেনা ক্যাম্পাসে আসেন মনসুর আলম। ক্লাস চলাকালে হৃদরোগে আক্রন্ত হয়ে কয়েকঘন্টার ব্যবধানে সিনিয়র শিক্ষক এ.বি.এম মনসুর আলম পাড়ি জমান পরপারে। জানা যায়, প্রতিদিন মনসুর আলম সকালে স্কুল ও কলেজে ক্লাস নিতেন। রবিবার ক্লাস চলাকালীন সময়ে হঠাৎ করে তাঁর বুকের মধ্যে ব্যথা অনুভব করেন। সাথে সাথে তার সহকর্মীরা সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যু বরণ করেন। খবরটি ছড়িয়ে পরলে নবীগঞ্জ উপজেলা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।

রবিবার রাত ৮টায় শিক্ষক মনসুর আলমের মরদেহবাহী এ্যাম্বুলেন্স আউশকান্দি রশিদিয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ মাঠে নিয়ে আসলে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী তাকে শেষ বারের মতো দেখতে ভিড় জমান। পরে রাত সাড়ে ৮টায় বিদ্যালয় মাঠেই তার জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযার নামাজের পূর্বে বক্তব্য রাখেন, আউশকান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ দিলাওর হোসেন, অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান, প্রভাষক ইকবাল বাহার তালুকদার, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী সুহুল আমিন, আব্দুল হামিদ নিকছন, ইসলাম শিক্ষক জিয়াউর রহমান মির, শিক্ষক কায়ছার হামিদ প্রমূখ।

নামাজে অনুষ্ঠিত নামাজে অংশগ্রহণ করেন ছিলেন, নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুন্ম আহবায়ক মুজিবুর রহমান সেফু, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম. এ আহমদ আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুন্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী ওবায়দুল কাদের হেলাল, আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি মুর্শেদ আহমদে, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক শাহ মোস্তাকিম আলী প্রিন্স, সাবেক ডাইরেক্ট শফিকুল আলম হেলাল, নির্বাহী সদস্য মুরাদ আহমদ, হাজী ফুল মিয়া, আজিজ হাবিব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান হাবিব, দীঘলবাক স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ, বুলবুল আহমেদ প্রমূখ।

জানাযার নামাজে ইমামতি করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক জিয়াউর রহমান মীর। নামাজ শেষে শিক্ষকের রুহের আত্মার মাগফিরাত কামনায় মোনাজাত করেন অত্র প্রতিষ্ঠান জামে মসজিদের ঈমাম জিয়াউর রহমান। জানাযার নামাজ শেষে শিক্ষক মনসুর আলমের জন্মস্থান ময়মনসিংহে লাশ বাহী গাড়ি নিয়ে রওয়ানা হন। সেখানে পরে ২য় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। উল্লেখ যে, ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার খারুয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ এর পুত্র এ.বি.এম মনসুর আলম। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক পুত্র সন্তান সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি বিগত ৩ নভেম্বর ১৯৯০ সালে ঘোলডুবা এম.সি উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। পরে ১ ফেব্রুয়ারী ২০০০ সালে আউশকান্দি রশিদিয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন।

শাকিল/সাএ