শরীয়তপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, টেঁটাবিদ্ধ ৭

প্রকাশিত: ১১:৪৭ অপরাহ্ণ, ২৩ জানুয়ারি ২০২৩

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরের জাজিরার বিলাসপুর ইউনিয়নে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে হাতবোমার আঘাত ও টেঁটাবিদ্ধ হয়ে অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যায় জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী ও ফারুক মাদবর গ্রুপ এবং জলিল মাদবর ও সালেক মাদবর গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিলো। গত নির্বাচনে কুদ্দুস বেপারী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই সালেক মাদবর ও জলিল মাদবর গ্রুপের লোকজন এলাকা ছাড়া হয়। তবে কিছুদিন ধরে তারা বাড়িতে আসার চেষ্টা করছিল। এরই জের ধরে সোমবার দুপুরে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হয়। আহতদের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ জনকে আটক করেছে।

এ বিষয়ে এক পক্ষের নেতৃত্বে থাকা সালেক মাদবর ও জলিল মাদবর বলেন, বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়লাভের পর থেকেই কুদ্দুস বেপারী ও ফারুক মাদবরের লোকজন আমাদের ভোটার-সমর্থকদের বিভিন্নভাবে মারধর করে এবং হুমকি-ধমকি দিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করে। সর্বশেষ আমরা প্রশাসনের আশ্রয় নিলে তারা আমাদের সমর্থকদের বাড়িতে চলে আসার জন্য বলেন। তারা বাড়িতে আসলেই কুদ্দুস বেপারী ও ফারুক মাদবরের লোকজন আমাদের ওপর এই অতর্কিত হামলা চালালে সংর্ষের সৃষ্টি হয়।

অপরপক্ষের নেতৃত্বে থাকা চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী ও ফারুকের বক্তব্যের জন্য বার বার ফোন দেওয়া হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিলাসপুরের বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বড় ধরনের কোনো সংঘর্ষ এড়াতে ১৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়েছে। সন্দেহভাজন ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শাকিল/সাএ