Laser rod deflecting the lightning: বাজ পড়ার আগেই ঘুরে যাবে অন্যদিকে, নতুনরকম লেসার প্রযুক্তি কমাতে পারে ক্ষয়ক্ষতি

১৭৫০ সালে যখন বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন যখন প্রবল বজ্রপাতের মধ্যে চাবি লাগানো ঘুড়ি আকাশে ওড়ান, তখনও তিনি বোধহয় জানতেন না তারই এই অভিনব আবিষ্কার শতাব্দীর পর শতাব্দী লোকে মনে রাখবে। এখন প্রযুক্তি এগিয়ে গিয়েছে অনেকটাই। বিজ্ঞানীরাও একুশ শতকের প্রযুক্তি দিয়ে আঠারো শতকের বিজ্ঞানকে নতুন করে উদ্ভাবিত করছেন। উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে একটি লেসার প্রযুক্তি তৈরি করা হয়েছে। এটি বজ্রপাতের বিরুদ্ধে সুরক্ষামূলক আবিষ্কারের মধ্যে একরকম বৈপ্লবিক আবিষ্কার বলা যায়। সোমবার বিজ্ঞানীরা জানানা, তারা বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিনের আদলেই একটি লেসার প্রযুক্তি তৈরি করতে সফল হয়েছেন। মাউন্ট সান্টিসের চূড়া থেকে ব্যবহার করে দেখা যায়, এটি আকাশের বজ্রপাতকে প্রতিফলিত করে অন্যদিকে পাঠিয়ে দিচ্ছে।

আগামী ক্ষেত্রে এটি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার করা যাবে বলে বিজ্ঞানীদের মতামত। তাদের কথায়, এটি ভবিষ্যতে বিভিন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বিমানবন্দর, হাওয়াকল ও লঞ্চপ্যাডের চূড়ার অংশে বসানো যেতে পারে।

এখনও মাঝে মাঝেই প্রবল বজ্রপাতের কারণে বিভিন্ন অঞ্চলের বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি, বাড়িঘর, ফ্যাক্টরি চূড়ান্তভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কারের ফলে বজ্রপাতে সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই এড়ানো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। বজ্রপাতের ফলে অনেক সময় ইলেকট্রিক তারও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। এর ফলে বহু প্রাণহানিও হয় সারা বিশ্ব জুড়ে। এই নতুন প্রযুক্তি ঠিকমতো ব্যবহার করা গেলে এমন ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই আটকানো সম্ভব।

এদিন বিজ্ঞানীরা জানান, লেসারের যন্ত্রটি সান্টিসের একেবারে চূড়ায় বসানো হয়েছিল। সেই হিসেবে প্রায় ৮২০০ ফুট উপরে ছিল যন্ত্রটি। এর কিছু যন্ত্রাংশ গন্ডোলার সাহায্যে ও কিছু হেলিকপ্টার মারফত চূড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। ৪০০ ফুটে লম্বা একটি ট্রান্সমিশন টাওয়ারের উপর থেকে আকাশের দিকে তাক করা হয় লেসার যন্ত্রটি। এই ট্রান্সমিশন টাওয়ারটি ছিল সুইসকমের। প্রসঙ্গত বজ্রপাতের কারণে এই টাওয়ার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

২০২১ সালের দুই মাস ধরে এই গবেষণা চলে। দেখা যায়, বজ্রপাতের সময় প্রবল পরিমাণে লেসার নির্গত হয়ে প্রতিফলিত করে অন্যদিকে পাঠিয়ে দিচ্ছে বিদ্যুৎকে। কেমন ছিল এই লেসার নির্গমনের হার। বিজ্ঞানীদের কথায়, প্রতি সেকেন্ডে ১০০০ বার নির্গত হচ্ছিল এই উন্নত প্রযুক্তির লেসার। দুটি উন্নত ক্যামেরার সাহায্যে এই দৃশ্য রেকর্ড করে দেখা যায়, প্রায় ১৬০ ফুট দূরত্ব দিয়ে প্রতিফলিত হয়ে অন্যদিকে চলে যাচ্ছে আকাশের বিদ্যুৎ।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup