Murder: উস্তিতে মাকে খুনের পর দেহ লোপাটের ঘটনায় গ্রেফতার ছেলে, নেপথ্যে কী উঠে এল?‌

সন্দেহ হয়েছিল। এবার সেই সন্দেহ নিয়ে তদন্তে নেমে নিশ্চিত হল পুলিশ। আর তার জেরে মাকে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল ছেলেকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি থানার ভোলেরহাটের সর্দারপাড়ায় এভাবেই বৃদ্ধার মৃত্যু রহস্য প্রকাশ্যে নিয়ে এল পুলিশ। রবিবার মাঝরাতে পুলিশ মৃতার ছোট ছেলে দীপক রাইকে গ্রেফতার করে। কারণ তথ্যপ্রমাণ বলছে, মায়ের খুনে অভিযুক্ত এই ছেলেই। মা সরস্বতী রাইকে খুন করে দেহ লোপাটের চেষ্টা করার কথা স্বীকার করেছে পুলিশের কাছে।

ঠিক কী ঘটেছিল উস্তিতে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, গত শুক্রবার থেকে আর দেখা যায়নি বৃদ্ধা সরস্বতী রাইকে। বৃদ্ধাকে খুন করে বাড়ির ‘সেপটিক ট্যাঙ্ক’–এ ফেলে দেওয়া হয়। আর রবিবার ওই সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার হয়। তার আগে বৃ্দ্ধার ভাই রামচন্দ্র পাসওয়ান পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। তারপর পুলিশ তদন্তে নেমে মৃতার ছোট ছেলে দীপক এবং তার স্ত্রী সুপর্ণা ও স্থানীয় যুবক খোকন ফকিরকে আটক করে দফায় দফায় জেরা করেন। আর কথায় অসঙ্গতি থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, মাকে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ছেলে দীপককে। ধৃত দীপকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও ২০১ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ, সোমবার ধৃতকে ডায়মন্ডহারবার এসিজেএম আদালতে তোলা হবে। ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মায়ের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পেরে যায় ছেলে। তারপরই চরম হতাশায় দীপক খুন করেছে।

ঠিক কী সেই সম্পর্ক?‌ এদিকে পারিবারিক সম্পত্তির অধিকার নিয়ে মা–ছেলের বিবাদ ছিল। বহু বছর আগে আর এক সন্তানকে ফেলে দীপককে সঙ্গে নিয়েই স্বামীর ঘর ছেড়ে স্বামীর বন্ধু ইসমাইলের সঙ্গে পালিয়ে এসেছিলেন মা সরস্বতী। অন্যদিকে এই কথা দীপকের কানে তুলেছিল কয়েকজন বন্ধু। এমনকী বিষয়টি নিয়ে রসিকতা করেছিল। যা মেনে নিতে পারেনি ছেলে দীপক। তাই একদিকে সম্পত্তি অন্যদিকে সম্পর্ক শেষ করতেই খুন করে দীপক। জেরায় সে কথা স্বীকার করেছে ছেলে দীপক বলে সূত্রের খবর।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup