Pirzada Kashem Siddiqi: ‘‌কলকাতা অচল করে দেব’‌, নৌশাদের গ্রেফতারে হুঁশিয়ারি ফুরফুরার পীরজাদার

ধর্মতলায় পুলিশের উপর আক্রমণের জেরে গ্রেফতার হয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। তাঁর সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন আরও ১৮জন কর্মী–সমর্থক। আর তার জেরে এবার ফুঁসে উঠলেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা। আজ, সোমবার কলকাতা অচলের হুঁশিয়ারি দেন পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকি। আইএসএফ বিধায়ক গ্রেফতারের প্রতিবাদে এবার সরব হলেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকি। পীরজাদার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ধর্ম ও রাজনীতিকে মেশানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

ঠিক কী বলেছেন পীরজাদা?‌ এই ঘটনার পর জামিন মেলেনি আইএসএফ বিধায়কের। এমনকী জামিন পাননি বাকিরাও। এই পরিস্থিতিতে ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‌কলকাতার ধর্মতলায় আমরা পীরসাহেবরা গিয়ে বসব। তাঁবু খাটিয়ে বসব। শেষ দেখে ছাড়ব। প্রয়োজনে কলকাতা অচল করে দেব।’‌ এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। কারণ এখন যদি কলকাতা অচল করতে আসেন তাঁরা তাহলে পুলিশকে অ্যাকশন নিতে হবে। সেক্ষেত্রে ভোটব্যাঙ্কে প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারে একজোট হন ফুরফুরার পীরজাদারা। আজ, সোমবার পীরজাদা ইব্রাহিম সিদ্দিকির বাড়িতে একটি বৈঠক বসেন তাঁরা। সেখানে ছিলেন পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকি, পীরজাদা সাফারি সিদ্দিকি, পীরজাদা সানাউল্লা সিদ্দিকি, সাহিমউদ্দিন সিদ্দিকি, পীরজাদা নাজমুস শাহাদাত–সহ অন্যান্যরা। এই বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকি বলেন, ‘‌নৌশাদ সিদ্দিকিকে নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে কলকাতা স্তব্ধ করে দেওয়া হবে। বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটব।’‌

আর কী বলা হয়েছে?‌ সূত্রের খবর, আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারের প্রতিবাদে আগামী বুধবার আইএসএফের পক্ষ থেকে শহরে মিছিল করবে। শিয়ালদা থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করা হবে। এমনকী রাজভবনেও যেতে পারে নেতৃত্বরা। পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকির কথায়, ‘‌ফুরফুরা শরিফের যত পীরসাহেব আছেন সকলে খারাপ নজরে দেখছি এটা। বাংলার হিন্দু–মুসলমান সকলেই খারাপ নজরে দেখছেন। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন আছে।’‌ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‌কলকাতায় অশান্তি হয়েছে। পুলিশ পুলিশের কাজ করেছে। এক বিধায়ককে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু কোনওভাবেই ধর্ম আর রাজনীতিকে মেশানো ঠিক নয়। কোনও ঘটনার প্রেক্ষিতে কেউ যদি বিনা নোটিশে রাস্তায় বসে পড়ে তাতে লক্ষ লক্ষ মানুষ বিপদে পড়লে পুলিশ কি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবে?’‌ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‌রাজনৈতিক দলের নেতারা আন্দোলন করেন, গ্রেফতারও হন। দল তার বিরোধিতায় আন্দোলনের পথেও হাঁটেন। তাতে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু দেখতে হবে ধর্ম রাজনীতি যেন মিশে না যায়।’‌