Road Accident: জাতীয় সড়কে বেপরোয়া লরি–চালক পিষে দিল চিকিৎসককে, ‌মর্মান্তিক পরিণতি

চিকিৎসককে পিষে দিল বেপরোয়া লরি। আজ, সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে উকুনমারির কাছে এই পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে। খড়গপুর থেকে গাড়িতে দিঘা যাচ্ছিলেন চিকিৎসক দম্পতি–সহ পাঁচজন। জাতীয় সড়কে লরিটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গেলে চালকের সঙ্গে বচসা হয় চিকিৎসকের। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে লরি চালক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে বাধা দিতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়েন চিকিৎসক গৌতম মুখোপাধ্য়ায়। তখনই তাঁকে পিষে দিয়ে চলে যায় লরিটি। আহত গাড়ির আরও দুই যাত্রী। তাঁদের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ঠিক কী ঘটেছে জাতীয় সড়কে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, লরি চাকার নীচে পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল চিকিৎসকের। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে নারায়ণগড় থানার উকুনমারির কাছে। সোমবার গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক চিকিৎসকের আহত হয়েছেন দু’‌জন। আহতদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে মকরামপুর হাসপাতালে। খড়গপুর থেকে প্রাইভেট হাড়িতে করে দিঘা যাচ্ছিলেন চিকিৎসক দম্পতি–সহ পাঁচজন। লরি জাতীয় সড়কে ওই প্রাইভেট গাড়িকে ওভারটেক করতে গেলে প্রাইভেট গাড়ির সামনের অংশে ধাক্কা লাগে। তখন যাত্রীরা নেমে ওই লরি চালককে আটকে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তখন লরি চালক লরি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইলে চিকিৎসক গৌতম মুখোপাধ্যায় লরির সামনে দাঁড়িয়ে তাকে আটকাতে গেলে তাঁর ওপর দিয়ে চলে যায় লরিটি। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ওই চিকিৎসকের।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ নিহত চিকিৎসক গৌতম মুখোপাধ্যায় (‌৪৫)‌। তিনি খড়গপুরেই বসবাস করেন। সোমবার ভোরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সড়কপথে দিঘা যাচ্ছিলেন। চিকিৎসককে পিষে দিয়ে চলে যায় লরিচালক। তখন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মৃতদেহ সংগ্রহ করেছে নারায়ণগড় থানার পুলিশ। ঘাতক লরি ও তার চালকের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে নারায়ণগড় থানার পুলিশ। আনন্দ করার আগেই বিষাদের চেহারা নেবে সেটা স্বপ্নেও ভাবেননি চিকিৎসকের পরিবারের সদস্যরা।

চিকিৎসকের পরিবার কী বলছে?‌ এই ঘটনার পর গোটা পরিবারে শোক নেমে আসে। চিকিৎসকের স্ত্রী এই পথ দুর্ঘটনা নিয়ে বলেন, ‘‌দু’টি পায়ের উপর দিয়ে চাকাটি চলে গিয়েছে। প্রায় দেড় ঘণ্টা আমরা ওখানে পড়েছিলাম। অনেক লোকজন জড়ো হয়েছিল। কেউ আমাদের সাহায্য করেননি। তখন উনি প্রাণে বেঁচেছিলেন। প্রচুর রক্তপাত হয়েছিল। এক ব্যক্তি একটি গাড়ি ঠিক করে আমাদের এই হাসপাতালে নিয়ে আসেন। থানায় ফোন করার পরও পুলিশ আসেনি।’‌