Sovondeb-Sarabjit: শোভনদেবের সঙ্গে দেখা করলেন বিহারের কৃষিমন্ত্রী, ছুটির দিনে কেন হঠাৎ সাক্ষাৎ?

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে রাজ্যে সরকার ছুটি দিয়েছে এই দিনে। তার পরেও কাজ চলল নবান্নে। কারণ বিহারের কৃষিমন্ত্রী কুমার সরবজিৎ এলেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে। ইতিমধ্যেই এনডিএ জোট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন নীতীশ কুমারের দল। তারপরও এখন তারাই জোট করে বিহারের মসনদে ক্ষমতায় রয়েছে। এখন দেশের বিরোধী জোটের মুখ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুতরাং বিহারের কৃষিমন্ত্রী এই রাজ্যের পরিষদীয়মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাওয়ায় গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।

ছুটির দিনে কী এমন জরুরি বৈঠক? নবান্ন সূত্রে খবর, বাংলার কৃষিক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পগুলি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তাছাড়া পঞ্চায়েত এবং কৃষির কাজকর্মে সাফল্য পেয়েছে বাংলা। তার জন্য শংসাপত্র মিলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে। তাই সেগুলি নিয়ে বিস্তারিত জানতে চান বিহারের মন্ত্রী কুমার সরবজিৎ। বাংলর প্রকল্পগুলির সুবিধা যেমন করে পাচ্ছেন কৃষকরা সেগুলি তিনি জানতে চান। তাই এইসব বিষয়ে আলোচনা করতে আসছেন মন্ত্রী কুমার সরবজিৎ।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এখানে কৃষকদের জন্য প্রকল্পগুলিতে এক পয়সাও দিতে হয় না কৃষকদের। বিমার প্রিমিয়াম সবটাই বহন করে রাজ‌্য সরকার। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে চাষের ক্ষতি হলে মেলে হাতে হাতে ক্ষতিপূরণ। ‘বাংলা শস‌্য বিমা যোজনা’য় চাষিদের ২২৮৬ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দিয়ে নজির গড়েছে নবান্ন। কেন্দ্রের এক নয়া–পয়সা সাহায‌্য ছাড়া এত বড় শস‌্য বিমা প্রকল্প গোটা দেশেই বিরল। সেটা কেমন করে সম্ভব হল তা জানতেই জরুরি বৈঠকে বসছেন দুই রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী বলে সূত্রের খবর।

উল্লেখ্য, বাংলার নিজস্ব শস‌্য বিমা যোজনার কথা জানতে পেরে এখন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক সরকারও এই প্রকল্পকে ‘রেপ্লিকেট’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই ইতিমধ্যেই ওড়িশার যুগ্মসচিব এবং উপ–সচিব পদমর্যাদার দুই আধিকারিক নবান্নে এসে কৃষি দফতরের সচিব ওঙ্কার সিং মিনা এবং কয়েকজন কৃষি আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করে গিয়েছেন। এমনকী হাওড়া জেলা ঘুরে কৃষি অফিসারদের অফিসে গিয়ে বিমার সম্পর্কে জেনেছেন। এবার এল বিহার। স্নায়ুর চাপ বাড়ছে কেন্দ্রীয় সরকারের।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup