Sukanta Majumder: সুকান্ত মজুমদারকে ভর্ৎসনা মঙ্গল পাণ্ডের, কেন হতাশা প্রকাশ করল শীর্ষ নেতৃত্ব?

বাংলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘‌মন কি বাত’‌ কার্যক্রম নিয়েও রাজ্য নেতাদের ভূমিকায় অসন্তোষ জানিয়েছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। সহ–পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য এই কার্যক্রমের সাফল্য নিশ্চিত করতে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে কিনা সেটা জানতে চেয়েছিলেন। তাঁকে তখন কমিটির সদস্যদের নাম জানানো হয়। কিন্তু সেই সদস্যদের অনেকেই দাবি করেন তাঁরা যে এই দায়িত্ব পেয়েছেন তা এতদিন জানতেন না। সব মিলিয়ে বঙ্গ–বিজেপির সাংগঠনিক ভিত কার্যত দুর্বল বলে মনে করছেন প্রবীণ নেতারা বলে সূত্রের খবর।

এদিকে রাজ্যে বিজেপির কর্মসূচি নিয়ে নয়াদিল্লিতে জল মেশানো রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে বলে বঙ্গ–নেতাদের সতর্ক করে দিলেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান পালন নিয়ে দলের জেলা সভাপতিরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে জল মেশানো রিপোর্ট পাঠানোয় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ বনসল। এই নিয়ে তিনি বঙ্গ নেতৃত্বকে বলেন, ‘জেলা থেকে জেলা সভাপতিরা রিপোর্ট দেন ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের। প্রতি জেলায় পাঁচ থেকে ছয়শো জায়গায় শোনার ব্যবস্থা করা হয়। অথচ তার ছবি পাঠাতে পারেন না। এত জল মেশাবেন না।’

অন্যদিকে এই নিয়ে এতটাই রেগে গিয়েছেন বনসল যে স্পষ্ট নির্দেশ দেন, প্রতি বিধানসভা পিছু ১০০ জায়গায় এই অনুষ্ঠান শোনানোর ব্যবস্থা করতে হবে। আর সেই অনুষ্ঠানের ছবি হোয়াটসঅ্যাপে পাঠাতে হবে। এছাড়া রাজ্যের নেতাদের এবং কর্মীদের মধ্যে যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের রিপোর্ট তিনি পেয়েছেন সেটা নিয়েও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি। শনিবার রাজ্য কমিটির প্রথমার্ধের বৈঠক শেষে দুর্গাপুরের এক অভিজাত হোটেলে বিশেষ খানাপিনার আয়োজন ছিল। মেনুতে ছিল—পোলাও, সরু চালের ভাত, কয়েক রকমের রুটি, মাছ, খাসির মাংস, চাটনি, মিষ্টি–সহ হাজারো পদ। সূত্রের খবর, খাসির মাংস দিয়ে কবজি ডুবিয়ে খাওয়ার পর রাজ্য কমিটির বহু নেতা আর দ্বিতীয়ার্ধের অধিবেশনে যোগ দেননি। তাঁদের অনেকেই হোটেলের ঘরে বিশ্রাম নিতে চলে যান। অনেকে আবার গাড়ি ধরে অন্যত্র বেরিয়ে পড়েন। এসব দেখেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন শীর্ষ নেতা মঙ্গল পাণ্ডে।

এই পরিস্থিতিতে ভাষণ দিতে গিয়ে মঙ্গল পাণ্ডে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ঘটনাটি নিয়ে প্রকাশ্যেই ভর্ৎসনা করেন। মঙ্গল পাণ্ডে বলেন, ‘‌মাত্র ৬ ঘন্টার বৈঠকে ধৈর্য্য নিয়ে আপনারা বসে থাকতে পারছেন না। সারা বছর বড় বড় সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলাবেন কী করে?‌ নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক রাজ্য নেতা বলেন, ‘‌দুপুরে খাওয়ার পর প্রায় অর্ধেক আসন ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। রাজ্য কমিটির বৈঠকে এমন দৈন্যদশা প্রকট হলে জেলা এবং নীচুতলার হাল বুঝতে অসুবিধা হয়নি তাঁর। এঁরা সোশ্যাল মিডিয়া নেতা হয়ে গিয়েছেন বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এমনকী জল মেশানো রিপোর্ট ধরা পড়ে যাওয়ায় বিরক্ত হন মঙ্গল পাণ্ডে।’‌