Burdwan Incident: আদি বিজেপি নেতাকে পিস্তল ঠেকিয়ে শাসানি, স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা নব্যের, আলোড়ন

দীর্ঘদিন ধরেই সংগঠন দুর্বল। আর তা নিয়ে সোচ্চার হচ্ছিলেন বিজেপির আদি নেতা কেশব কোনার। একুশের নির্বাচনে পূর্ব বর্ধমানে কেন সংগঠন মুখ থুবড়ে পড়ল?‌ সেটা নিয়ে একাধিক সম্ভাব্য কারণ সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছিলেন বিজেপির এই আদি নেতা কেশব কোনার। সেই থেকে রাগ ছিল বিজেপির নব্য নেতা তথা যুব মোর্চার নেতা পিন্টু সাম। সোমবার রাতে তাই সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে কেশবের বাড়িতে হাজির হন পিন্টু। তখন বিষয়টি নিয়ে বচসা শুরু হলে পিস্তল মাথায় ঠেকিয়ে হুমকি দেন পিন্টু। এমনকী তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

ঠিক কী ঘটেছে বর্ধমানে?‌ পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে সোমবার বাড়িতে ঢুকে বিজেপির আদি নেতা কেশব কোনারকে মাথায় বন্দুক ঠেকায় পিন্টু সাম। শ্বশুর এবং স্ত্রীকে মারধর করা হয়। এই নিয়ে বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি পিন্টু সাম এবং জেলা যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক দেবজ্যোতি সিংহরায়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন তিনি। কেশব কোনারের অভিযোগ, সোমবার রাতে পিন্টু, দেবজ্যোতি–সহ পাঁচজন বাড়িতে ঢুকে রড, লাঠি দিয়ে মারধর করে। তখন কেশবকে বাঁচাতে গেলে আক্রান্ত হন তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুর। শক্তিগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন কেশব।

তারপর ঠিক কী হয়েছে?‌ পুলিশে দায়ের হওয়া অভিযোগ অনুযায়ী, কেশবকে যখন বাঁচাতে যান তাঁর শ্বশুর এবং স্ত্রী তখন তাঁকে মারধর করা হয়। আর স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। তখন বাড়িতে একজন এসে যাওয়ায় সেটা সম্ভব হয়নি। এই ঘটনার পর গোটা পরিবার আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। তাছাড়া কেশব কোনার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পিন্টু সাম। যদিও পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এখনও কেউ গ্রেফতার হননি।

ঠিক কী বলেছেন কেশব–পিন্টু?‌ এই ঘটনায় আক্রান্ত হয়ে সে খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন কেশব। আর এই আদি নেতা কেশব বলেন, ‘‌রাতে তখন বাড়িতেই ছিলাম। হঠাৎই দরজায় কেউ কড়া নাড়ছে শুনে গিয়ে দরজা খুলি। দেখি পিন্টু সাম ও তার দলবল দাঁড়িয়ে আছে। বাড়িতে ঢুকে পড়ে আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, কেন ওদের দুর্নীতির কথা আমি সামনে আনছি?‌ এরপরই মারধর শুরু করে। আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। দুর্দিনে দল করেছি। এখন নব্যদের হাতে আক্রান্ত হতে হচ্ছে’‌। পাল্টা যুবনেতা পিন্টু সাম বলেন, ‘‌কেশব সাম তৃণমূলের জল্লাদ। ওদের এজেন্টের কাজ করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক অ্যাকাউন্ট খুলে দলের বদনাম করছে। শালীনতা বজায় না রেখে দলের নেতাদের আক্রমণ করছেন। তিনি কেন এমন করছেন সেটা জানতে বাড়িতে গিয়েছিলাম। মারধরের অভিযোগ ঠিক নয়।’‌