Hawkers in Kolkata: আইনের রাস্তায় ব্যবসা করলেই হকারদের মিলবে CESC-র বিদ্যুৎ সংযোগ, উদ্যোগ নিচ্ছে KMC

আইন মেনে চললে মিলবে বিদ্যুতের সংযোগ। হকারদের আইনের রাস্তায় আনতে এই বার্তা দিতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। যে সব হকার পুরসভার নির্দিষ্ট আইন মেনে পথে ব্যবসা করবেন তাদের সিইএসসি-র বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে উদ্যোগ নিচ্ছে পুরসভা।

সম্প্রতি এক সমীক্ষা করে কলকাতা পুরসভা ও কলকাতা পুলিশ। তাতে দেখা যায় অনেক হকারই আইন মেনে ব্যবসা করছেন। তাই অন্যদেরও উৎসাহ দিতে ওই ‘আইন মানা’ হকারদের পুরস্কার হিসাবে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করতে চায় কলকাতা পুরসভা।

মেয়র পারিষদ এবং শহর-হকার কমিটি কো-চেয়ারম্যান দেবাশিস কুমার বলেন,’আমরা দেখেছি কিছু হকার আইন মেনে ব্যবসা করতে চায়। তাই তাঁদের স্বীকৃতি হিসাবে পরিচয়পত্র এবং সিইএসসি-র বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা নেবে কলকাতা পুরসভা।’

এ প্রসঙ্গে এক পুর আধিকারিক জানিয়েছেন, ফুটপাথে যাতে পথচারীরা স্বচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারেন তার জন্য হকারদের ফুটপাথের নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে টিনের শেড করে দেওয়া হবে। তাঁর মতে হকারদের অনেকেই সিএসসি-র বিদ্যুৎ সংযোগ চাইছেন।

ওই পুর আধিকারিকের মতে, আইন অনুযায়ী ফুটপাথে অন্তত দুই তৃতীয়াংশ জায়গা ছেড়ে রাখতে হবে। হকারদের টিনের শেড তৈরি করে দেওয়ার পথচারীরা অনেকটা স্বচ্ছন্দে চলাফেরা করেছন। গড়িয়াহাটের একটা অংশে এই টিনে শেড তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।

যদিও ইতিমধ্যে কলকাতা বহু হকার সিইএসসি লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে কাজ চালাচ্ছেন। তাঁরা ব্যক্তিগত ভাবে বা তার দোকানের লাগোয়া বাড়িতে মিটার বসিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নিচ্ছেন। এ ছাড়া স্থানীয় হকার ইউনিয়ন অফিসে মিটার বসিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নিচ্ছেন হকাররা।

ফুটপাথে রান্না করা খাবার বিক্রি করার জন্য কেউ কেউ ইনডাকশন ব্যবহার করলেও এখনও বেশির ভাগ হকারই কয়লার উনুন ব্যবহার করেন। পুর আধিকারিকরা মনে করছেন, হকাররা যদি বিদ্যুৎ সংযোগ পান তবে তবে তাঁদেরও বাধ্য করে যাবে উনানের বদলে ইনডাকশন ব্যবহার করাতে।

এ ব্যাপারে সিইএসসি তরফেও সদর্থক ইঙ্গিত মিলেছে। এই নিয়ে পুরসভার সঙ্গে তাদের কথাও হয়েছে বলে এক সিইএসসি আধিকারিক জানিয়েছেন। হকাররা নির্দিষ্ট ঠিকানায় ব্যক্তিগত বা যৌথ নামে মিটার নিতেই পারেন বলে জানিয়েছেন সিইএসসি আধিকারিক।