ISF Protest: আইএসএফের বিক্ষোভে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ, গ্রেফতার সেনা জওয়ান

এক সেনাকর্মীকে এবার গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। ধর্মতলায় আইএসএফ যখন তাণ্ডব করছিল তখন তিনি কর্মীর ছদ্মবেশে পুলিশের উপর আক্রমণ করেছিলেন বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগে মুর্শিদাবাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হল সেনা কর্মীকে। এখানে আসার আগে সেনার চাকরি থেকে ছুটিতে বাড়ি ফিরেছিলেন। তারপর দেখতে পান ধর্মতলায় সবাই যাচ্ছে। তখন তিনিও এসে হাজির হন। আর পুলিশের উপর চড়াও হয়ে মারধর করতে থাকেন।

এদিকে পুলিশ সেদিনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কারণ রিপোর্ট জমা দিতে হবে ১ ফেব্রুয়ারি ব্যাঙ্কশাল কোর্টে। তাই সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হয়। সেখানেই ধরা পড়ে এই সেনাকর্মীর ছবি। শনিবার এসেছিলেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সভায়। আজ, মঙ্গলবার সেই ছবি দেখে খোঁজ নিয়ে চিহ্নিত করে মুর্শিদাবাদের বাড়ি থেকে সৈয়দ আলমগির হোসেন নামের ওই সেনাকর্মীকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। যা নিয়ে এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

অন্যদিকে শনিবার আইএসএফ এবং কলকাতা পুলিশের মধ্যে ধুন্ধুমার সংঘর্ষ হয় খোদ ধর্মতলায়। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। টেনেহিঁচড়ে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয় ভাঙড়ের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি ও কর্মী–সমর্থকদের বলে অভিযোগ। তার আগেই পুলিশের উপর আক্রমণ করার অভিযোগ ওঠে আইএসএফের কর্মীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থানার এরোয়ালি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় আলমগিরকে।

ঠিক কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, আলমগির ‘টেরিটোরিয়াল আর্মি’র ইঞ্জিনিয়ারিং রেজিমেন্টের হাবিলদার। মঙ্গলবার এরোয়ালি গ্রামের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আলমগিরের একটি বাড়ি বর্ধমানে। আর একটি বাড়ি খড়গ্রামে। আলমগির গুজরাতে কর্মরত। এখন দু’‌মাসের ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন। আর পুলিশকে মেরে গ্রেফতার হলেন। তাঁর বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় আলমগিরকে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup