দীর্ঘসূত্রিতার কলঙ্ক মুছতে সোজা নিম্ন আদালতের বিচারককে ফোন অভিজিৎ গাঙ্গুলির

দীর্ঘসূত্রিতার জন্য কুখ্যাত ভারতীয় বিচারব্যবস্থার অঙ্গ তিনি। কিন্তু বিচারে অহেতুক দেরি একেবারেই বরদাস্ত করতে পারেন না তিনি। এর আগে একাধিক মামলার পর্যবেক্ষণে সেকথা বুঝিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর বুধবার তো একেবারে হাতে কলমে দেখালেন কী করে কাটতে হয় লাল ফিতের ফাঁস। বিবাহ বিচ্ছেদের একটি মামলায় পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্য জেলা দায়রা বিচারককে ফোন করে দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করতে পরামর্শ দিলেন তিনি।

মায়ের মৃত্যুর পর পেনশন ছেলে পান সেই আবেদন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা জীবনানন্দ বর্মন নামে এক বৃদ্ধ। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে শিউলি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। তাঁর ছেলের বয়স বর্তমানে ১৫। ২০২০ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সময় শিউলির বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল। মায়ের মৃত্যুর পর ছেলের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেন বাবা। এর পর দাদুর কাছেই বড় হচ্ছে সে। জীবনানন্দবাবুর দাবি, বাবা যেহেতু ছেলের দায়িত্ব নিচ্ছেন না তাই প্রয়াত মায়ের পেনশন পাক ছেলে।

এই আবেদন শুনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, নাতির আইনি হেফাজত দাবি করে নিম্ন আদালতে কি তিনি মামলা করেছেন? জবাবে বৃদ্ধ জানান, সেই মামলা পূর্ব মেদিনীপুরে জেলা আদালতে বিচারাধীন। একথা শুনে এজলাসে বসেই ফোন করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কথোপকথন শুনে বোঝা যায় পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা দায়রা বিচারককে ফোন করেছেন তিনি। জীবনানন্দবাবুর মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তি করতে মুখ্য জেলা দায়রা বিচারককে অনুরোধ করেন তিনি।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, আমি সামাজিক ন্যায়ের পক্ষে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আদালত যদি ন্যায় দিতে না পারে তাহলেই মানুষ পার্টি অফিসে যাবে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup