গরুর জন্য আবাসিক হোটেল | BD24Live.com

প্রকাশিত: ৬:৫১ অপরাহ্ণ, ২৫ জানুয়ারি ২০২৩

ছবি: সংগৃহীত

সাধারণত আমরা জানতাম শহরাঞ্চলে মানুষের জন্য আবাসিক হোটেলের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু এবার ভিন্ন চিত্র দেখা গেল রংপুরের মর্ডান মোড়ের ধর্মদাশ বার আওলিয়া এলাকায়। সেখানে গরুর জন্য রয়েছে আবাসিক হোটেল। যা তৈরি হয়েছে আরও সাত থেকে আট বছর আগে।

জানা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা এসে রংপুরের বিভিন্ন হাটে গরু ক্রয় করে ঢাকাসহ অন্যান্য স্থানে নেয়ার জন্য এখানে গরুকে নিয়ে রাত যাপন করেন। এতে ব্যবসায়ীরা যেমন নির্বিঘ্নে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছেন। তেমনি তাদের গবাদি পশুর সেবাও নিশ্চিত হচ্ছে। কোরবানি ঈদ এলে এই আবাসিক হোটেলে ব্যবসা আরও জমজমাট হবে। আবাসিক হোটেলে রয়েছে গরুর জন্য নির্ধারিত স্থান এবং থাকা খাওয়ার পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা।

গরু ব্যবসায়ীরা জানান, এখানে নগরীর বিখ্যাত লালবাগহাট, বড়াইবাড়ি হাট, শঠিবাড়িহাট, আমবাড়ি হাট,বেতগাড়ি, মধুপুর, খানসামা, বুড়িরহাট, তারাগঞ্জ, আফতানগরসহ বিভিন্ন হাট থেকে ক্রেতারা গরু ক্রয় করে ঢাকা,চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনিসহ দেশের বিভিন্নস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য। ব্যবসায়ীরা এই আবাসিক হোটেলে এক রাত অথবা দুই রাত গরুকে বিশ্রাম দিয়ে তারপরে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। প্রতিটি গরু বাবদ ৬০ টাকা করে নেয়া হয়।

গড়ে একশত গরু থাকে এই আবাসিক হোটেলে। রাত যাপনের পরে এখান থেকে ট্রাকয়োগে বিভিন্ন স্থানে নেয়া হয়।

গরুর ব্যাপরি জাহাঙ্গীর আলম ও জসিম মিয়া জানান, এখানে গরু রেখে অনেকটা নিশ্চিন্ত হওয়া যায়। একরাত বিশ্রাম নেয়ার পরে দেশে বিভিন্নস্থানে গরু নিয়ে যেতে সুবিধা হয়। তাই আবাসিক হোটেলে গরু রাখছি।

এই আবাসিক হোটেলে কর্মচারি রয়েছে ৪ জন। আলমগীর হোসেন, আলাল মিয়া,মনোয়ার হোসেন ও মিনার। তারাই গরুর দেখভাল করেন। তারা জানান, গরুর দেখাশুনা করতে ভালই লাগে।

এই আবাসিক হোটের মালিক মোঃ আসানুর রহমান জানান, এখন শীতকাল তাই গরুর আমদানি কম। তবে এখন প্রতিদিন ৩০/৪০টি গরু তার এই হোটেলে থাকে।

স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, আবাসিক হোটেল গড়ে উঠার ফলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। তেমনি ব্যবসায়ীদের জন্য সৃষ্টি হয়েছে নিরাপদ পরিবেশে পশু বেচা-কেনা ও রাখার সুযোগ। ঝড়-বৃষ্টির সময় এসব গরু নিয়ে খুব বেকায়দায় পড়ত ব্যাপারিরা। হোটেল হওয়াতে রোদ-ঝড়-বৃষ্টিকে গরুর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই।

ইমদাদ/সাএ