FBI-এর মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় এই সুন্দরী! অপরাধের ফিরিস্তি শুনলে অবাক হবেন

‘ক্রিপ্টোকুইন’ নামেই আত্মপ্রচার করতেন রুজা ইগনাটোভা। তবে সেই রানীই যে খলনায়িকায় পরিণত হবেন, তা কে জানত! FBI-এর মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় একমাত্র মহিলা তিনিই। কিন্তু কেন?

রুজার একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি সংস্থা ছিল। নাম, ‘OneCoin’। এই সংস্থার মাধ্যমেই বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগকারীদের থেকে প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার তোলেন তিনি। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা। এই পুরো টাকাটাই নিয়ে হঠাত্ই ‘হাওয়া’ হয়ে যান মহিলা। আরও পড়ুন: চাকরির নামে ১৭ লক্ষ টাকা নিয়ে গ্রেফতার শিক্ষক

২০১৪ সাল। তখন সবে সবে ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার বাড়ছে। এমন সময়েই নিজের ফন্দি আঁটেন রুজা। OneCoin-এর মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগকারীদের থেকে টাকা তুলতে শুরু করেন। এই OneCoin-কে BitCoin-এর প্রতিদ্বন্দী হিসাবে প্রচার করতেন তিনি। ২০১৬ সালে তাঁর কারবার তুঙ্গে ওঠে। বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ তাঁর এই কয়েনে বিনিয়োগ করেন।

ওয়ানকয়েনের প্রচারে ‘ক্রিপ্টোকুইন’। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

(Instagram)

এরপর ২০১৭ সাল। টাকা তছরূপের অভিযোগে তাঁকে পাকড়াও করার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ। আর সেই সময়েই বুলগেরিয়ার সোফিয়ায় একটি বিমানে চড়তে দেখা গিয়েছিল সোফিয়াকে। তারপর ‘ভ্যানিশ’। গত ৫ বছরে তাঁর হদিশ পাননি কেউ। FBI-এর নথি বলছে, ২৫ অক্টোবর ২০১৭ সালে তিনি বুলগেরিয়া থেকে গ্রিসের এথেন্সগামী একটি বিমানে চড়েন। তারপর সেখান থেকে সম্ভবত অন্য কোথাও চলে যান। কিন্তু সেই খবর কারও জানা নেই।

তিনি সম্ভবত কোনও জার্মান পাসপোর্ট ব্যবহার করে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, বুলগেরিয়া, জার্মানি, রাশিয়া, গ্রিস বা পূর্ব ইউরোপের কোনও দেশে জনতার ভিড়ে মিশে গিয়েছেন। কোটি কোটি টাকা আত্মসাত্ করে আরামে দিন কাটাচ্ছেন।

গোয়েন্দাদের মতে, রুজার এই ওয়ানকয়েন এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক জালিয়াতি কাণ্ড। তাঁর এই ভুয়ো ক্রিপ্টোকারেন্সি-তে ১০০টিরও বেশি দেশের ৩০ লক্ষেরও বেশি বিনিয়োগকারী টাকা রেখেছিলেন।

বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে এই বিপুল টাকা তুলতে সম্পূর্ণ ভুয়ো দাবি করতেন রুজা। বিনিয়োগকারীদের ধনী করে তোলার স্বপ্ন দেখাতেন। কিন্তু বাস্তবে ওয়ানকয়েন ক্রিপ্টোকারেন্সির কোনও মূল্যই ছিল না। পুরোটাই আসলে রুজার পরিকল্পনার অংশ ছিল। বিশ্বব্যাপী সাধারণ মানুষ, যাঁরা ক্রিপ্টোকারেন্সি জিনিসটি কী, সেটাই বুঝে উঠতে পারেননি, তাঁরাই তাঁর ‘টার্গেট’ ছিলেন।

রুজা ইগনাটোভা কিন্তু বেশ শিক্ষিত। জার্মানির নাগরিক হলেও তাঁর জন্ম কিন্তু বুলগেরিয়ায়। তাঁর বাবা ইঞ্জিনিয়ার। মা শিক্ষিকা। রুজা বেশ মেধাবী ছাত্রীও ছিলেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো স্থান থেকে আইন পাশ করেন। কাজ করতেন ম্যাকিঞ্জির মতো বড়, নামজাদা সংস্থায়। ফলে তাঁর যে কোনওকালে টাকার অভাব ছিল, তা একেবারেই নয়।

গোয়েন্দাদের গোপন সূত্রে খবর, সম্ভবত প্লাস্টিক সার্জারি করে মুখ-ই বদলে ফেলেছেন রুজা! ঘোরেন সশস্ত্র দেহরক্ষীদের নিয়ে। ইউরোপের মধ্যেই এদিক-ওদিক ঘোরেন তিনি। তবে এখনও তাঁর সঠিক হদিশ কেউ দিতে পারেননি।  আরও পড়ুন: তিহাড় জেলে বন্দি ৮০০ কোটির চিটফান্ড কেলেঙ্কারির মাথা গোপাল দলপতি

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup