Giasuddin Mollah: উস্থি থানায় ঢুকে তৃণমূল বিধায়কের ‘দাদাগিরি’, কড়া হাতে সামলালেন এসডিপিও

থানায় গিয়ে দাদাগিরির অভিযোগ উঠল মগরাহাট পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক গিয়াসুদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে। এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিয়োতে বিধায়ককে পুলিশকে উদ্দেশ করে ‘দু টাকার চাকর’ বলতেও শোনা যায়। খবর পেয়ে থানায় পৌঁছন ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও। তিনি কার্যত শক্ত হাতে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করেন। বিধায়ককে থানার সিড়িতেই বসিয়ে রাখেন। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্থান টাইমস বাংলা।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত রবিবার উস্থি থানার ভেলোরহাটে মাকে খুনের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জয়ন্ত চৌধুরী নামে আরও এক ব্যক্তিকে আটক করে উস্থি থানার পুলিশ। তিনি স্থানীয় তৃণমূল কর্মী। তাঁকে আটক খবর পৌঁছতেই থানা এসে পৌঁছন গিয়াসুদ্দিন মোল্লা। থানায় ঢুকে রীতিমতো পুলিশদের হুমকি, ধমকানি দিতে থাকেন। এমনকি দুটাকার চাকরও বলেন। ওই ডিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, থানার পুলিশের সঙ্গে বচসা চলাকালীন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন দে। কেন বিধায়ক অভিযুক্তকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছেন তা জানতে চান। বিধায়ককে যেতে না দিয়ে তিনি থানা চত্ত্বরেই বসিয়ে রাখেন।

ওই ভাইরাল ভিডিয়োতে এসডিপিও-কে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘কথায় কথায় আপনি কেন পুলিশের উর্দি খুলে নেওয়া, বদলি করার হুমকি দেন?’ বিধায়ক বলেন, ‘আমি ভদ্র ঘরের ছেলে হুমকি দি না।’ এই কথাকাটির সময়ই গিয়াসুদ্দিন মোল্লাকে পুলিশে ‘দুটাকার চাকর’ বলতে শোনা যায়। বিধায়ক অভিযোগ করেন তাঁকে ‘ক্রিমিনাল’ বলা হয়েছে। তখন এসডিপিও বলেন, ‘কেউ আপনাকে ক্রিমিনাল বলেনি। কিন্তু অপরাধীকে সমর্থন করে ছাড়াতে এলে সেও সমান অপরাধী।’ উস্থি থানার সিঁড়িতে বসেই চলে গোটা কথোপকথন।

বিধায়কের সঙ্গে তাঁর অনুগামীরাও এসেছিলেন। পুলিশ তাদের লাঠি চালিয়ে থানা চত্ত্বর থেকে বের করে দেয়। এসডিপিও-র সঙ্গে কথা কাটাকাটি চলাকালীন থানা হাজির হন তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য তন্দ্রা পুরকাইত। তিনি বিধায়ককে বোঝানার চেষ্টা করেন। কিন্তু খুব একটা লাভ হয়নি। গিয়াসউদ্দিন মোল্লা দাবি করেন তিনি কথা প্রসঙ্গে এই কথা বলেছেন। তাঁর অন্য কোনও উদ্দেশ ছিল না। এই ঘটনাকে কেন্দ্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে মগরা হাট এলাকায়। অনেকই এসডিপিও-র ভূমিকাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।