Justice Rajasekhar Mantha: কাঁথির তৃণমূল ছাত্রনেতাকে কেন গ্রেফতার করা হয়নি? পুলিশকে ধমক বিচারপতি মান্থার

ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্রে নেতাকে কেন এখনও গ্রেফতার করা হয়নি পুলিশের কাছে জানতে চাইল আদালত। ওই ছাত্র নেতাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা তদন্তকারী পুলিশকর্তাকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘আপনারা কি জানেন না অভিযুক্ত কোথায় আছে?’ ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে ভরা এজলাসে বিচারপতি মান্থা রীতিমতো ধমক দেন তদন্তকারী পুলিশকর্তাকে।

মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে আদালতে হাজির ছিলেন তদন্তকারী অধিকারিক রুমা মণ্ডল। তাঁকে বিচারপতি তাঁকে বলেন, ‘শুধরে যান, না হলে আপনার বিরুদ্ধে অনেক কিছু হতে পারে।’

কাঁথির তৃণমূল নেতা শুভদীপ অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল নির্যাতিতার পরিবার। ১০ জানুয়ারি প্রথমে তারা থানার দ্বারস্থ হন। পরে গত ১৯ জানুয়ারি কালকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। আদালত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেনয কিন্তু সেই নির্দেশের পর পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়নি। এর পর ফের আদালতে মামলাটি উঠলে শুনানিতে বিচারপতি তদন্ত নিয়ে পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করেন। তদন্তকারী অফিসারকে তিনি বলেন, ‘আপনি সঠিক ভাবে তদন্ত করছেন না। যত দ্রুত হয় তাঁকে (শুভদীপ) গ্রেফতার করুন।’

এজলাসে তদন্তকারী আধিকারিকের সঙ্গে অভিযুক্তের আইনজীবীকেও ধমক দেনে বিচারপতি। তিনি আইনজীবীর কাছে জানতে চান,’আদালতের নির্দেশের পরে কেন অভিযুক্ত আত্ম সমর্পণ করেনি। উল্টে তিনি পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আদালতের নির্দেশের পর কী ভাবে আগাম জামিনের করা হল?’ পুলিশ এবং অভিযুক্তের আইনজীবী সে ভাবে কোনও জবাব দিতে পারেননি।

প্রসঙ্গত, এই ঘটনা গতবছর অক্টোবর মাসের। মেয়েটির বাবা-মায়ের অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁদের মেয়ের সঙ্গে সহবাস করেছিল শুভদীপ। সেই সব ছবি মোবাইলে তুলে রাখে। কিন্তু পরে শুভদীপ বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় ছবিগুলি তাঁকে মুছে দিতে বলে নির্যাতিতা। ১৪ অক্টোবর ছবি মোছার নাম করে মেয়েটিকে নিয়ে দিঘায় যান তৃণমূল নেতা। অভিযোগ, সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। তার পর বাড়ি ফিরে মেয়েটি আত্মহত্যা করে।

এ নিয়ে থানা অভিযোগ জানায় মেয়েটির বাবা-মা। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন তাঁরা। বিভিন্ন সময় তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে বিচারপতিকে অভিযোগ করেছেন। এমন কী বাড়ি লক্ষ্য করে ইটও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারপতি অবিলম্বে নির্যাতিতার বাড়ির সামনে পুলিশ পিকেট বসানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মঙ্গলবার মামলাটির ফের শুনানি রয়েছে।