New voter name inclusion: ১৮ নয় ১৭তেই ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য আবেদন করা যাবে, নয়া নিয়ম আনল কমিশন

আর আঠারো বছর বয়স হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। বয়স সতের হলেই ভোটার কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে। ১৩ তম জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে বুধবার একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই অনুষ্ঠানে আবেদনের এই বয়স পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব।

তিনি জানান ১৭ বছর বয়স থেকে ভোটাররা প্রি-রেজিস্ট্রেশন শুরু করতে পারবেন। এর ফলে যেই আবেদনকারী বয়েস আঠারো হয়ে যাবে, পোস্টঅফিসের মাধ্যমে নতুন ভোটারের বাড়িতে ভোটার কার্ড পৌঁছে যাবে। দেশের অন্যান্য রাজ্যে নতুন এই আবেদনের পদ্ধতি চালু হয়েছে। এ বার চালু হল রাজ্যে।

এখনও পর্যন্ত যে নিময় রয়েছে তাতে ভোটাররা ১ জানুয়ারির মধ্যে আঠারোতে পড়লে ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য আবেদন জানাতে পারেন। কিন্তু যাঁদের জন্ম ১ জানুয়ারির পর তাঁদের অপেক্ষা করতে হয় আগামী বছরের জন্য। ফলে আইন অনুযায়ী ভোটার হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা ভোট দিতে পারেন না। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানিয়েছেন, নতুন ব্যবস্থায় এই সমস্যার সমাধান হবে। ফলে ১ জানুয়ারির পর যাঁদের জন্ম তাঁদের ভোটার কার্ড পেতে এক বছর অপেক্ষা করতে হবে না।

এই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। তিনি বলেন, নতুন ব্যবস্থায় ইতিমধ্যে ১৭ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে। কমিশনার জানান, নতুন ভোটার তালিকায় দেশে মোট ভোটারের সংখ্যা ৯৪ কোটি ৫০ লক্ষ। এর মধ্যে ১৮ থেকে ১৯ বছর বয়সি নতুন ভোটারের সংখ্যা ১ কোটি ৪৩ লক্ষ। দেশে ৮০ বছরের বেশি বয়সের ভোটারের সংখ্যা ২ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৩ লক্ষ ভোটারের বয়স শতবর্ষ পরিয়ে গিয়েছে।

ভোট দিবস উপলক্ষে এদিন ২৩ জেলার সেরা নির্বাচনী আধিকারিকদের পুরস্কার দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তকে ভোটার তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া দক্ষিণ দিনারপুরের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণকে ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরির জন্য ও আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্রকুমার মিনাকে ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করার জন্য পুরস্কৃত করা হয়েছে।