Satellite images detected poo: স্যাটেলাইটে ধরা পড়ল বিষ্ঠার ছবি! তাই দেখে কাদের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা

স্যাটেলাইট ম্যাপিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে অ্যান্টার্কটিকায় এম্পেরর পেঙ্গুইনদের একটি কলোনির খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা। এই নতুন উপনিবেশটি আন্টার্কটিকার উপকূলরেখার ধার জুড়ে রয়েছে। মোট ৬৬ পরিচিত এম্পেরর পেঙ্গুইনের উপনিবেশ রয়েছে এখানে। যার অর্ধেক ধরা পড়েছে উপগ্রহ চিত্রে।

বিশেষজ্ঞদের দলটি ইউরোপীয় কমিশনের কোপার্নিকাস সেন্টিনেল-২ স্যাটেলাইটের ছবিগুলি পরীক্ষা করে। এরপর ছবিগুলি মিলিয়ে দেখা হয়, ম্যাক্সার ওয়ার্ল্ডভিউ-৩ স্যাটেলাইটের উন্নত মানের ছবিগুলির সঙ্গে। তারপরেই পেঙ্গুইনদের নতুন কলোনি সম্পর্কে নিশ্চিত হন বিজ্ঞানীরা।

কীভাবে মিলল খোঁজ?

শুনতে অদ্ভুত লাগলেও পাখির মলের চিহ্ণ দেখেই প্রথম খটকা লাগে বিজ্ঞানীরা। পেঙ্গুইনের মলের বর্ণ খয়েরি রঙের হয়। বরফ এবং পাথরের উপর এই খয়েরি রঙ সনাক্ত করা সহজ। তা থেকেই উপনিবেশটির খোঁজ মিলেছে আন্টার্কটিকায়। পশ্চিম আন্টার্কটিকার নতুন সাইট ভার্লেগার পয়েন্টটিতে প্রায় ৫০০ পাখি রয়েছে‌।

এম্পেরর পেঙ্গুইনদের বংশবৃদ্ধির জন্য সামুদ্রিক বরফের প্রয়োজন‌‌ হয়। সাধারণত তারা এমন অঞ্চলে থাকেন, যেখানে পরীক্ষানিরীক্ষা করা খুব কঠিন‌। তাছাড়াও এই অঞ্চলগুলি বেশ দূরবর্তী এবং প্রায়শই দুর্গম। এমনকী তাপমাত্রা মাইনাস ৬০ ডিগ্ৰি সেলসিয়াসের মতো কম হতে পারে। গত ১৫ বছর ধরে, ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের (বিএএস) বিজ্ঞানীরা বরফের উপর মলের দাগের রয়েছে এমন উপগ্রহ চিত্রের খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কারণ এর মাধ্যমেই নতুন উপনিবেশের খোঁজ মেলে।

এম্পেরর পেঙ্গুইনদের পছন্দের প্রজননের জায়গা হল সমুদ্রের ধার। তবে এই অঞ্চলের সামুদ্রিক বরফ গলে যাওয়ায় বাড়ছে সমস্যা। এম্পেরর পেঙ্গুইনের অস্তিত্ব এখন ঝুঁকির মুখে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এমন বাসস্থানের পরিমাণ কমছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে শতাব্দীর শেষ দিকে ৮০ শতাংশ পেঙ্গুইন উপনিবেশ বিলুপ্ত হবে।

গবেষণাটি মহাকাশ থেকে বন্যপ্রাণী প্রকল্পের অংশ ছিল‌। কোপার্নিকাস সেন্টিনেল-২ হল একটি স্যাটেলাইট মিশন যা ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি ইউরোপীয় কমিশনের কোপার্নিকাস পরিবেশ পর্যবেক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে চলে এবং পরিচালনা করে। অ্যান্টার্কটিক গবেষণা সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক কমিটির অনুরোধের পর ২০১৬ সাল থেকে সেন্টিনেল-২ অ্যান্টার্কটিকার ছবি সংগ্রহ করছে এসসিএআর। ম্যাক্সার টেকনোলজিস একটি বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট প্রদানকারী সংস্থা। যে ছবিটি উপনিবেশ খুঁজে পাওয়ার ব্যাপার নিশ্চিত করেছে সেটি তাদেরই তোলা ১৮ অক্টোবর ২০২১ তারিখের। ওইদিন সাইটের ৩০ সেমি রেজোলিউশনের ওয়ার্ল্ড ভিউ-৩ ছবি ছিল এই মলের ছবি।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup