Saree : সেফটিপিনের প্রয়োজন নেই, আনকোরা হলেও এভাবে সহজেই পরে ফেলতে পারেন শাড়ি…

কথাতে আছে ‘শাড়িতে নারী’! বরাবরই শাড়ি নারীর কাছে একটা সৌন্দর্যের ব্যাকরণ। আর সেখান থেকেই ‘শাড়িতে নারী’ কথাটার প্রচলন হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে উৎসবের দিনে শাড়ি ছাড়া মহিলাদের সাজই যেন সম্পূর্ণ হয় না! আবহমানকাল থেকেই শাড়িকে নারীর সম্প্রম, অলঙ্কার, অহংকার বলেই মনে করা হয়ে থাকে। শুধু যুগের পরিবর্তনে শাড়ি পরার ধরনটুকুই যা বদলেছে।

ঠিকমতো, সুন্দরভাবে শাড়ি পরাটাও একটা শিল্প। যদিও আজকাল বহু মহিলাকেই শাড়ি পরতে গিয়ে হোঁচট খেতে হয়! যাঁরা এখনও শাড়ি পরতে গেলে কীভাবে পরবেন এটা ভাবতে থাকেন, তাঁদের জন্য রইল শাড়ি পরার কিছু সহজ টিপস…। যেটা পরে নিয়ে সরস্বতী পুজোর দিন আপনিও চটজলদি সুন্দরভাবে শাড়ি পরে ফেলতে পারেন…।

‘শাড়িতে নারী’

চলুন চটপট দেখে নেওয়া যাক…

১. প্রথমবার শাড়ি পরলে ভারী শাড়ি না পরে সুতির হালকা শাড়ি পরুন, তাতে সামলাতে সুবিধা হবে।

২. শাড়ি পরার আগেই প্লিট করে নিন, শাড়িতে স্বচ্ছন্দ্য না হলে আঁচল ছেড়ে রাখার থেকে প্লিট করে নেওয়াই ভালো। তারপর কুচি পরে করুন। তবে খুব বেশি লম্বা আঁচল করবেন না, তাতে সমস্যা হবে। আবার একেবারে ছোট আঁচল করলেও আপনাকে বেঁটে দেখাবে।

৩. অতিরিক্ত নিচু বা উঁচু করে শাড়ি পরবেন না। বেশি নিচু করে শাড়ি পরলে মাটিতে লুটিয়ে পরতে পারেন। আবার বেশি উঁচু হলেও দেখতে খারাপ লাগে, তাই সামঞ্জস্য বজায় রাখুন।এমনভাবে পরবেন, যাতে গোড়ালি ঢাকা থাকে, আবার রাস্তাতেও না লুটিয়ে যায়।

৪. যদি সম্ভব হয়, হিল বা ফ্ল্যাট যেমন জুতোই পরুন না কেন, তা শাড়ি পরার আগে পরে নিলে শাড়ির ঝুলটা সহজেই বোঝা যায়।

৫. শাড়ি পরা নিয়ে টেনশন হলেও ব্লাউজে আপনি নিজের মতো করে স্টাইল, এক্সপিরিমেন্ট করতেই পারেন। আজকাল বিভিন্ন ধরনের ডিজাইনার ব্লাউজ পাওয়া যায়।

৬.সুতির শাড়ির সঙ্গে সুতির পেটিকোট, আর সিল্কের শাড়ির সঙ্গে সিল্কের পেটিকোট পরতে পারেন। সঙ্গে বডিশেপার ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে আপনার শরীরের কার্ভ সুন্দরভাবে বোঝা যাবে।

৭. আজকাল অনেকেই আবার জিন্স বা লেগিংসের উপর শাড়ি পরেন, পেটিকোটে অসুবিধা হলেও এভাবেও পরতে পারেন।

৮.কুচিতে অতিরিক্ত সেফটিপিন লাগাবেন না, এতে শাড়ি ছিড়ে যেতে পারে। তার থেকে ঠিকভাবে কুচিটা গুঁজে নিন। নাভির ঠিক নিচে কুচি গুঁজলে দেখতে ভালো লাগে।