USA on India Blocking BBC Documentary: ‘মুক্ত গণমাধ্যমকে সমর্থন করি’, BBC-র ডকুমেন্টারি ব্লক করা নিয়ে মুখ খুলল আমেরিকা

সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করে বিবিসির ডকুমেন্টারি ব্লক করা নিয়ে নয়াদিল্লিকে বার্তা দিল ওয়াশিংটন। গতরাতে সাংবাদিক সম্মেলনে মোদীকে নিয়ে বিবিসির তৈরি ডকুমেন্টারি ভারতে নিষিদ্ধ হওয়া প্রসঙ্গে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ‘আমরা বিশ্বে মুক্ত গণমাধ্যমকে সমর্থন করি। মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্মাচরণের স্বাধীনতা গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। এই নীতির গুরুত্ব তুলে ধরি আমরা। আমরা বিশ্বজুড়ে এই নীতি কার্যকরের ওপর জোর দিয়েছি। ভারতেও তুলে ধরেছি এই একই নীতি।’

উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই গুজরাট দাঙ্গার সময় নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে তৈরি বিবিসি তথ্যচিত্র নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। একদিকে যেখানে জেএনইউ-তে এই ডকুমেন্টারি দেখানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়, ঝামেলা হয়। সেখানে হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হওয়ার পর দায়ের হয়। তিরুবনন্তপুরমেও এই ডকুমেন্টারি ঘিরে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধেছিল বিজেপি কর্মী-সমর্খথকদের। এই আবহে এবার ডকুমেন্টারি বিতর্ক দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে আমেরিকাতে পৌঁছেছে।

এর আগেও এই ডকুমেন্টারি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন নেড প্রাইস। তবে সেই সময় এই ইস্যুটি পুরোপুরি এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, তথ্যচিত্রের বিষয়বস্তু নিয়ে অবগত নন। নেড প্রাইস বলেন, ‘আমি এই ধরনের কোনও তথ্যচিত্র সম্বন্ধে অবগত নই।’ এর সঙ্গে নেড প্রাইস যুক্ত করেন, ‘আমি বিস্তৃতভাবে যা বলতে পারি, তা হল এমন অনেকগুলি বিষয় রয়েছে যা আমাদের সঙ্গে ভারতের বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বকে রক্ষা করে। আমাদের দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের জনগণের মধ্যেও গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এরই সঙ্গে আমরা দুই দেশ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ভাগ করে নিই। এই মূল্যবোধগুলিই আমেরিকান গণতন্ত্র এবং ভারতীয় গণতন্ত্রকে এক সূত্রে গাঁথে।’ পাশাপাশি নেড প্রাইস উপমহাদেশে আঞ্চলিক শান্তি বজায় থাকার বিয়ে আশা ব্যক্ত করেন। তবে আজ কিছুটা সুর বদল করলেন নেড প্রাইস।

উল্লেখ্য, এর আগে ভারত সরকারের তরফে বিবিসির এই তথ্যচিত্র নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছিল। বিদেশমন্ত্রকে মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বিবিসির বিতর্কিত তথ্যচিত্র নিয়ে বলেছিলেন, ‘এই তথ্যচিত্রটির পিছনে নির্দিষ্ট অ্যাজেন্ডা রয়েছে।’ প্রসঙ্গত, ‘ইন্ডিয়া:দ্য মোদী কোয়েশ্চন’-এর দুই পর্বে ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় মোদীর ‘ভূমিকা’ তুলে ধরা হয়েছে। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকও জানিয়েছেন, এই তথ্যচিত্রের মোদীর চরিত্রায়ণের সঙ্গে তিনি একমত নন। অভিযোগ, এই তথ্যচিত্রটিতে প্রধানমন্ত্রী তথা গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘ভুল চরিত্রায়ণ’ হয়েছে। এই আবহে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সচিবের তরফে ইউটিউব ও টুইটারে সেই তথ্যচিত্র সংক্রান্ত যাবতীয় ভিডিয়ো সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই তথ্যচিত্রের লিঙ্ক সম্বলিত ৫০টিরও বেশি টুইট ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র।