কুইজের নেশা এইচটি স্কুলের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যেন ছোটে। এমনিতেই কুইজের মতো অনুষ্ঠান জ্ঞান আহরণের অন্যতম সেরা রাস্তা হয়ে উঠতেই পারে। বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের জন্য এর বিকল্প খুব কমই আছে। আর সেখানে এইচটি স্কুলের প্রসঙ্গ উঠলে তো কথাই নেই। সেটির প্রমাণ আবারও পাওয়া গেল এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসে।
গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে শুরু হয়েছিল ‘হিন্দুস্তান টাইমস রিপাবলিক ডে কুইজ’ বা RDQ। সেবারেই বিষয়টি বিশ্বরেকর্ডের দিকে এগিয়ে যায়। সব মিলিয়ে ১৯,৬২৫ পড়ুয়া অংশগ্রহণ করেছিলেন সেই কুইজে। এবার সেই রেকর্ডও ভেঙে গেল। সব মিলিয়ে ২১,৫৪০ জন অংশগ্রহণ করলেন এবারের অনলাইন কুইজে। ৫ ফেব্রুয়ারি এই কুইজের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। আর তার সঞ্চালনার দায়িত্বে থাকবেন দেশের দুই সেরা কুইজমাস্টার ডক্টর নবীন জয়কুমার আর অবিনাশ মুদালিয়ার।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে অবিনাশ মুদালিয়ার বলেন, ‘গত বছর ক্লাসঅ্যাক্ট শুরু হয়। ক্লাসঅ্যাক্ট ২০২২-এ রেকর্ড সংখ্যক অংশগ্রহণকারী এসেছিলেন। আমরা আশা রেখেছিলাম, সেই সংখ্যা এ বছরে কিছুটা হলেও বাড়বে। ক্লাসঅ্যাক্ট ২০২৩-এ যে আমাদের সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে, তাতে আমরা দারুণ খুশি। যে পড়ুয়ারা এখানে অংশগ্রহণ করল, তাদের আমরা ধন্যবাদ জানাতে চাই। গত বছর এখানে ১৯,৬২৫ জন অংশ নিয়েছিলেন। এবার সেখানে ২১,৫৪০ জন অংশ নিয়েছেন। কুইজিং এখন জ্ঞানচর্চার জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় মাধ্যম। নতুন প্রজন্ম বিশেষ করে এতে দারুণ ভাবে অংশ নিচ্ছে। ফাইনালে ওঁরা কেমনভাবে অংশগ্রহণ করেন, সেটি দেখার অপেক্ষায় রয়েছি।’
অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা বর্তমান সময়ে পড়ুয়াদের নানাভাবে উপকার করছে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, এটি ভৌগলিক সীমারেখা ভেঙে দিচ্ছে। সারা পৃথিবী থেকে পড়ুয়ারা এই ধরনের প্রতিযোগিতায় সহজে অংশগ্রহণ করতে পারছে। ‘হিন্দুস্তান টাইমস রিপাবলিক ডে কুইজ’ বা RDQ সেখানেই সাহায্য করছে পড়ুয়াদের। ‘আমি খুশি যে এত পড়ুয়া এই কুইজে অংশগ্রহণ করেছেন। স্কুল ছুটির দিনে যে এত ছাত্রছাত্রী এভাবে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুইজে অংশগ্রহণ করেছে, তা দেখেই বোঝা যায়, ভারতের নতুন প্রজন্ম জ্ঞানচর্চায় কতটা আগ্রহী।’ এমনই মত ডক্টর নবীন জয়কুমারের।
২৬ জাুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়া কুইজের প্রাথমিক রাউন্ড বেশ কিছু মজার প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন পড়ুয়ারা। ৬০টি প্রশ্নের জবাব পরপর দিতে হল তাঁদের। তার মধ্যে ২৮টি এমসিকিউ জাতীয় প্রশ্ন ছিল। কয়েক উদাহরণ দেখে নেওয়া যাক।
প্রশ্ন: ১৯৮৪ সালে রাকেশ শর্মা প্রথম ভারতীয় হিসাবে মহাকাশে যান। তাঁর জীবন নিয়ে যে ছবি তৈরি হতে চলেছে, তার নাম কি?
উত্তর: সারে জাঁহা সে আচ্ছা।
প্রশ্ন: ভালো কুইজ করার জন্যও লাগে, আবার মার্স রোভারেও আছে। কী সেই জিনিস?
উত্তর: ‘কিউরিয়োসিটি’।
এই কুইজের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ৫ ফেব্রুয়ারি। জুমে ছাড়াও সেটি দেখা যাবে এইচটি স্কুলের ইউটিউব চ্যানেলে। প্রাথমিক রাউন্ডের সেরা ১০০ জন এই ফাইনালে অংশ নিতে পারবেন। যাঁরা অংশ নেবেন তাঁদের প্রত্যেকের সামনে সুযোগ আছে ১.২৫ লাখ টাকার গিফট কুপন জেতার। এছাড়াও প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী পাবেন শংসাপত্র। খুব তাড়াতাড়িই এই ১০০ জনের নাম ঘোষণা করা হবে।