Halishahor Murder: প্রেমিকাকে খুন করে হালিশহর থানায় আত্মসমর্পণ, যুবকের ঘটনায় আলোড়ন জেলায়

এবার প্রেমিকাকে খুন করে হালিশহর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করল প্রেমিক। চমকে ওঠার মতো ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে। কয়েকদিন আগে এই এলাকায় একটি হোটেল ভাড়া নিয়ে থাকছিল যুগল। এরপর এই যুবক প্রেমিকাকে খুন করে হোটেলে রেখে থানায় যায়। সেখানে গিয়ে নিজের কীর্তির কথা জানায়। যা শুনে পুলিশ অফিসাররাও চমকে ওঠেন। তারপর হোটেলে এসে ঘর থেকে যুবতীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ঠিক কী ঘটেছে হালিশহরে?‌ পুলিশকে দেওয়া অভিযুক্ত যুবকের বয়ান অনুযায়ী, কথা কাটাকাটি হয়েছিল দু’‌জনের মধ্যে। তখন মাথা গরম হয়ে যায়। আর সেসব কথা সহ্য করতে না পেরে এই ঘটনা ঘটিয়েছে যুবক। কিন্তু তার পরে অনুশোচনায় সে নিজেই থানায় আত্মসমর্পণ করে। যদিও এই বয়ান কতটা সত্য এবং অন্য় কোনও কারণ আছে কি না সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে কি বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছিল সেটা কিছু খোলসা করেনি ওই যুবক। তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

ঠিক কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, কোচবিহারের যুবতী সোমা মণ্ডলের নামে হালিশহরের একটি হোটেল বুক করা হয়েছিল। সেখানে কয়েকদিন ধরে প্রেমিক সুমন সাহার সঙ্গে থাকছিলেন প্রেমিকা সোমা। তবে শুরু থেকে এই যুগলের মধ্যে কোনও অশান্তি হতে দেখেননি হোটেল কর্মীরা। সেখানে হঠাৎ বুধবার সন্ধ্যে থেকে প্রেমিকার দেখা মেলেনি। নিখোঁজ ছিল প্রেমিকও। সেটা দেখে হোটেল মালিকের সন্দেহ হয়। তবে তার আগেই সেখানে ওই প্রেমিক যুবককে নিয়ে হাজির হয় পুলিশ। আর তাতেই সবাই চমকে যান।

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করার পর যুবককে গ্রেফতার করা হয়। যুবক পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে, রাগের মাথায় প্রেমিকাকে খুন করে ফেলেছে সে। হোটেলে এসে পুলিশ বন্ধ ঘর খুলে সোমার দেহ উদ্ধার করে। তখন বাথরুমে পড়ে ছিল সোমার দেহ। তখন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, মাথা গরম করেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে যুবক। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। আর এই ঘটনা নিয়ে হোটেল ম্যানেজার বুদ্ধদেব বাগ বলেন, ‘‌গত ২৩ জানুয়ারি প্রথম ওরা হোটেলে আসে। কোচবিহারের বাসিন্দা ছিল যুবতী। দু’দিন হোটেলের ঘরেই ছিল। আজ হঠাৎ হোটেলে পুলিশ আসে। ঘরের তালা খুলতেই দেখা যায় বাথরুমে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ওই যুবতী’‌।