Domestic violence Act: স্ত্রী অত্যাচার করে? স্বামীর সুরক্ষা নিয়ে যা বলল আদালত

গার্হস্থ্য হিংসা প্রতিরোধক আইন বা domestic violence lawতে বিবাহিত মহিলাদের সুরক্ষা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু পরিবারের পুরুষ সদস্য বিশেষত স্বামীকে সুরক্ষা দেওয়ার সুযোগ নেই। এমনটাই পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের।

প্রটেকশন অফ ওমেন ফ্রম ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্যাক্টের সেকশন ২তে নির্যাতিত বলতে সাধারণত পরিবারের মহিলা সদস্যকে বোঝানো হয়। তাঁর সঙ্গে অপরপক্ষের কোনও গার্হস্থ্য সম্পর্ক রয়েছে।

এদিকে একটি মামলায় এক স্বামী তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসা সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তবে সেই মামলা থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য স্ত্রী আবেদন করেছিলেন। সেই মামলায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বর্তমানে ওই মামলায় ওই মহিলার স্বামী মামলাটিকে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালতের তরফে বলা হয়েছে প্রাথমিকভাবে এই আইনের সুরক্ষার ক্ষেত্রে পরিবারের পুরুষ সদস্য বা বিশেষত স্বামীর কথা উল্লেখ করা নেই।

আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ফের ওই মামলার শুনানির দিন ধার্য্য করা হয়েছে। আদালতের তরফে বলা হয়েছে, এই বিশেষ কারণের জেরে দিল্লির কারকারদুমা কোর্টে মামলাটির পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত আপাতত স্থগিত থাকবে। অন্যদিকে ২৩ জানুয়ারির অর্ডারে মহিলার আবেদনের ভিত্তিতে তার স্বামীকে নোটিশ জারি করা হয়েছে।

এদিকে মহিলার তরফে থাকা আইনজীবী জানিয়েছেন, ওই পুরুষ সদস্য়ের তরফে যে আবেদন করা হয়েছে তার সঙ্গে এই আইনের বৈপরীত্য রয়েছে। আইনজীবীর তরফে জানানো হয়েছে, এই আইনের ক্ষেত্রে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের সুরক্ষার কোনও ব্যাপার নেই। বিশেষত স্বামীর সুরক্ষার কথা এই আইনে বলা নেই।

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সব মিলিয়ে কেবলমাত্র পরিবারের মহিলা সদস্যদের সুরক্ষার জন্যই এই গার্হস্থ্য হিংসা আইনটি রয়েছে। পরিবারের পুরুষ সদস্য অর্থাৎ স্বামী এক্ষেত্রে তাঁর সুরক্ষার জন্য় আবেদন করেছিলেন। স্ত্রীর বিরুদ্ধে তিনি এই আবেদন করেছিলেন। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছে এই ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্যাক্ট অনুসারে পুরুষ সদস্যদের সুরক্ষার ব্যাপারটি উল্লেখ করা নেই।