Minor Marriage: ‘বিয়ে করতে চাই না!’ ফোনে কাতর আর্তি নাবালিকার, প্রশাসন এসে বন্ধ করল বিয়ে

বাড়িতে চরম দারিদ্র। ‘উদ্ধার পেতে’ নাবালিকার বিয়ের ব্যবস্থা করে ফেলেছেন তার বাবা-মা। কিন্তু বিয়ে করতে নারাজ সে। বাবা-মাকে বুঝিয়েও লাভ হয়নি। অবশেষে নিজের উদ্যোগে তাঁর বিয়ে আটকাল নাবালিকা। বিডিও অফিসে ফোন করে তাঁদের জানায় এই বিয়ের খবর। প্রশাসন এসে বাবা-মা ও পাত্রকে বুঝিয়ে নাবালিকার বিয়ে আটকায়।

সুন্দরবনের হাসনাবাদে ব্লকের বাসিন্দা ওই নাবালিকা দশম শ্রেণির ছাত্রী। বাবা বিশেষ ভাবে সক্ষম। মা গৃহবধূ। বাড়িতে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। এই পরিস্থিতিতে নাবালিকার বাবা মা ভেবেছিলেন মেয়েকে পাত্রস্থ করলে সংসারের ‘ভার’ কিছুটা লাঘব হবে। প্রতিবেশী ২৪ বছরের যুবকের সঙ্গে তাঁর বিয়ের ঠিক হয় তার। সেইমতো বিয়ের আয়োজন করেন তাঁরা। শুক্রবারই ছিল বিয়ে। কিন্তু বেঁকে বসে মেয়ে। কিছুতেই বিয়ে করতে চায় না সে। পড়াশুনা চালিয়ে যেতে চায় সে।

নাবালিকা নিজেই সাহস করে প্রশাসনের টোল ফ্রি নম্বর ১০৯৮ তে ফোন করে। জানায় সমস্ত ঘটনা। হাসনাবাদ বিডিও-র নির্দেশে পুলিশ নিয়ে পাঁচ জনের একটি প্রতিনিধি দল বিয়ে বাড়িতে যায়। তাঁরা বিয়ে বন্ধ করে দেন। নাবালিকার বাবা-মা ও পাত্রের কাছ থেকে মুচলেকাও লিখিয়ে নেন।

আধিকারিকরা তাঁদের বোঝান, নাবালিকা অবস্থায় বিয়ে দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। আগামী বছর ছাত্রীটি মাধ্যমিক দেবে। কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে সব রকম সরকারি সুবিধা পাবে সে। প্রাপ্তবয়স্ক হলে রূপশ্রীও পাবে সে।