লেখকের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব সত্যের পক্ষে থাকা, সত্য লেখা। লেখকের উচিত দায়িত্বটা পালন করা কিন্তু সেটা কেউ করছেন না বলে মন্তব্য করেছেন প্রখ্যাত গীতিকার, সুরকার ও লেখক লতিফুল ইসলাম শিবলী।
অমর একুশে বইমেলা ২০২৩-এর চতুর্থ দিন শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলা ট্রিবিউনের মুখোমুখি হন তিনি। এ সময় তিনি নিজের প্রকাশিত বই, বইমেলার পরিবেশসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।
এ বছর প্রকাশিত আপনার বই সম্পর্কে জানতে চাই।
বলতে গেলে প্রতিবছরের বইমেলায় আমার একটি করে নতুন বই বের হয়। এবার প্রকাশিত বইয়ের নাম ‘নূর’। এটি নালন্দা প্রকাশনী থেকে বেরিয়েছে। বইমেলার প্যাভিলিওন-৫ এ পাওয়া যাচ্ছে।
এবারের বইমেলা কেমন লাগছে?
বইমেলা লেখকদের জন্য ঈদের মতো। সারাবছর মেলার অপেক্ষায় থাকে লেখকরা। মেলায় আমি আমার পাঠকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারি। এটা একটা দারুন ব্যাপার। পাঠকদের মতামত জানতে পারি। তাছাড়া মেলায় বই বিক্রি হয় অনেক। বাণিজ্যিক দিক চিন্তা করলে এটা একটা ভালো সুযোগ। কারণ সারাবছর যত বই বিক্রি হয়, এক মেলাতে তার প্রায় দ্বিগুণ বিক্রি হয়।
পাঠকদের কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
আলহামদুলিল্লাহ, আমার পাঠক ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এক সময় যারা আমার গান শুনতো, কবিতা পড়তো, তারা এখন আমার বইয়ের পাঠক হয়ে গেছে। তাছাড়া গানের কৃতিত্বের পেছনে তিন-চারজনের ভূমিকা থাকে, কিন্তু একজন লেখক যখন গল্প, উপন্যাস বা কবিতা লিখে তখন পুরো কৃতিত্বটাই তার। ভালো হলেও তার, মন্দ হলেও তার। এক্ষেত্রে আমি খুব খুশি, কারণ আমার পাঠক বাড়ছে।
বইমেলার পরিসর বাড়ার পাশাপাশি স্টল সংখ্যাও বেড়েছে। মেলার এবারের আয়োজনে কোনও অসঙ্গতি কি আপনার চোখে পড়েছে?
মেলার মাঠে অনেক ধুলাবালি-এটা একটা অসঙ্গতি। আয়োজক কর্তৃপক্ষের উচিত মেলা শুরুর আগেই মাঠে পানি ছিটানো। এছাড়া শৌচাগারের অবস্থা ভালো না।
নতুন লেখকদের প্রতি আপনার প্রত্যাশা বা আহ্বান কী?
লেখকের কাজই হলো—সত্য বলা, ইনসাফের পক্ষে লেখা, সত্যের পক্ষে থাকা। লেখকদের উচিত দায়িত্বটা পালন করা কিন্তু সেটা কেউ করছে না।
কাগজের দাম বাড়ার কারণে বই প্রকাশের খরচ বেড়েছে। এটি পাঠকদের ওপর কি ধরনের প্রভাব ফেলছে বলে মনে করেন।
হ্যাঁ, বইয়ের দাম বেড়ে গেছে। এর প্রত্যক্ষ প্রভাব আমার ওপরও পড়েছে। কয়েক বছর আগে ‘আসমান’ নামে আমার একটি প্রকাশিত হয়েছিল। আমার বইগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে বেশি বিক্রিত। বইটার পেপার ব্যাক ভার্সন ছিল। কাগজের দাম বাড়ার কারণে ৩০০ টাকার যে বইটি পেপার ব্যাক ভার্সনে ১০০ টাকায় দেওয়া যেতো, সেটি এখন আর দিতে পারছি না।