মঞ্জিরী চিত্রে[
আদানি-হিন্ডেনবার্গ বিতর্কে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করল কংগ্রেস। কংগ্রেসের তরফে তিনটি প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে হম আদানি কে হ্যায় কৌন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করে কংগ্রেস জানিয়েছে, এসবিআই আর এলআইসিতে মানুষের বিনিয়োগ যতদিন না পর্যন্ত নিরাপদ বলে গণ্য হচ্ছে না ততদিন পর্যন্ত কংগ্রেসের আন্দোলন চলবে। প্রতিশ্রুতি মতো এই আন্দোলন চলবে।
বিরোধীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এলআইসি কী করে এত ঝুঁকি নিল? পাবলিক সেক্টর প্রতিষ্ঠানগুলি যাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আরও সতর্কতা নেয় সেব্যাপারে আরও সতর্ক হওয়া দরকার ছিল। নাকি এটা আবার মন কি ব্যাঙ্কিংয়ের নমুনা?
এদিকে আদানির বিরুদ্ধে ওঠা আগের অভিযোগগুলিকেও সামনে এনেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে, একাধিক প্রশ্ন উঠছে এনিয়ে। আদানি গ্রুপে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কারা সবথেকে বেশি লাভবান হবে এটা সবার আগে ভাবা দরকার।
কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে, চারটি প্রধান প্রতারণা সংক্রান্ত তদন্তকারী রয়েছে। সেবিও রয়েছে। সেকথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রীর অফিস, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর অফিস কিংবা এলআইসি নিজে কি এই ধরনের বিনিয়োগ নিয়ে কিছু ভেবেছিল?
তৃতীয় প্রশ্নে কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে, ২৪ জানুয়ারির পরে আদানির বিনিয়োগে এলআইসি কী পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এনিয়ে কি আপনি কোনও কিছু শেয়ার করেছেন?
অন্যদিকে আদানির বিনিয়োগের জেরে এলআইসি বিপথে পরিচালিত হয়েছে। তার জেরে ৩৪ লাখ শেয়ারহোল্ডারদের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য কোনও ব্যবস্থা কি নিয়েছেন?
অন্যদিকে কংগ্রেসের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সমস্ত স্টেট ব্যাঙ্ক ও এলআইসির অফিসের সামনে কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা বিক্ষোভ দেখানোর হবে। অন্যদিকে সংসদেও আদানি ইস্যুতে কার্যত তোলপাড় হয়েছে। সব মিলিয়ে আদানি ইস্যুতে লোকসভা নির্বাচনের আগে কার্যত তেড়েফুঁড়ে আক্রমণে নেমেছে কংগ্রেস। বিজেপি সরকারের কাছে দফায় দফায় কৈফিয়ৎ চাওয়া হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হল, কেন এনিয়ে আগাম সতর্ক হল না সরকার সেই দাবিও তোলা হয়েছে।