Raj Bhavan: ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নিয়ে রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট জমা করল রাজ্য, কী হল বৈঠকে?

বিরোধীরা যখন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ তুলছেন তখন রাজ্য সরকার রাজ্যপালের কাছে একটি রিপোর্ট জমা করল। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা করা হয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে। পঞ্চায়েতগুলির খরচ–সহ কাজের গুণগত মান সঠিকভাবে রক্ষা করা হচ্ছে কিনা সেসব তথ্য সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে। এই বিষয়ে নজরদারির প্রয়োজন বলে মনে করে রাজভবন। তাই রাজ্যের পঞ্চদ্বশ অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান অভিরূপ সরকার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের হাতে অর্ন্তবর্তী রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বৈঠকও হয়।

রাজ্যপালকে কী জানানো হয়েছে?‌ নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যপালের কাছে কমিশনের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, সবসময় আর্থিক খরচই উন্নয়নের একমাত্র মাপকাঠি হয় না। দেখতে হবে কতটা সঠিক পথে খরচ হবে। আর গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজ্যস্তরের অডিটের প্রয়োজন। একটি রাস্তা তৈরি করতে কখনও এক ইঞ্চি পিচ পড়তে পারে। আবার তিন ইঞ্চি পিচও পড়তে পারে। তবে দুটি ক্ষেত্রে গুণগত মান এক হবে না। অডিটে আর্থিক মাপকাঠির সঙ্গে গুণগত মাপকাঠি উল্লেখ করতে হবে।

রাজভবন থেকে কী জানা যাচ্ছে?‌ রাজভবন একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বরাদ্দ অর্থ পঞ্চায়েতের হাতে তুলে দিলেই হবে না, তিন মাস অন্তর তার খরচও নজরদারি করতে হবে। গুণগত মান বাড়াতে হবে সোশ্যাল অডিটেরও। আর স্বাধীন কোনও সংস্থাকে অডিটের দায়িত্ব দেওয়া উচিত। পঞ্চায়েতের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রসংঘ যে মাপকাঠি ভারত সরকার মেনে নিয়েছে সেটা গ্রহণ করা যেতে পারে। পঞ্চায়েতগুলির কাজের রিপোর্ট কার্ড চালুর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্ট কার্ডের ভিত্তিতে পঞ্চায়েতগুলির জন্য ইনসেনটিভ স্কিম দেওয়া যেতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। এই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর তা নিয়ে এদিন রাজভবনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বিস্তারিত আলোচনাও করেন পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান অভিরূপ সরকারের সঙ্গে। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরেই তাঁর এই প্রস্তাব অভিরূপ সরকারকে জানান রাজ্যপাল।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup