বিধানসভায় রাজ্যপালের মুখ দিয়ে মিথ্যা কথা বলিয়েছে এই সরকার। বুধবার রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনে রাজ্যপালের ভাষণের পর এমনই অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে তিনি প্রশ্ন করেন, কেন বিগত রাজ্যপালদের মতো ভাষণের অংশ বাদ দিলেন না রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস?
বুধবার রাজ্যপালের ভাষণ চলাকালীন বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। ভাষণের কপি ছিঁড়ে হাওয়ায় ওড়াতে থাকেন তাঁরা। এমনকী রাজ্যপাল বিধানভবন থেকে বেরনোর সময় তাঁকে উদ্দেশ করে গো ব্যাক স্লোগান তোলে বিজেপি।
এর পর সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দুবাবু বলেন, বিগত রাজ্যপালদের মতো ভাষণের অসত্য অংশ তাঁর কাছে না পড়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু তিনি তা করেননি। সম্প্রতি তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল মিস্টার রবি তিনি নিজে বিধানসভায় কিছু বিষয় পড়তে অস্বীকার করেছেন। আমরা মহামান্য রাজ্যপালকে দায়ী বা দোষী করব না। কিন্তু মহামান্য রাজ্যপাল তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল মিস্টার রবির দেখানো পথে না হেঁটে মমতা ব্যানার্জির পথে হেঁটেছেন।
শুভেন্দুবাবু অভিযোগ করেন, ১০০ দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা ও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে রাজ্যপালকে দিয়ে মিথ্যা পরিসংখ্যান পেশ করেছে সরকার।
সঙ্গে তিনি রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে রাজ্যপালের ভাষণে যে দাবি করা হয়েছে তার বিরোধিতা করেন। শুভেন্দুবাবু বলেন, রাজ্যে রোজ কোথাও না কোথাও বোমা ফাটছে। বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছে। তার পরও কী ভাবে রাজ্যপাল রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেন?
ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে রাজ্যপালের দাবিকে খণ্ডন করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ধর্ণনিরপেক্ষতা মানে কি নওসাদ সিদ্দিকির টুপি ধরে টানা? না হরিচাঁদ – গুরুচাঁদকে অপমান করা? না কি শিলিগুড়িতে সরস্বতী প্রতিমা ভাঙচুর?